Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Thursday, May 6, 2021

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভবনা।

গেল বছর করোনাভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠিত হয়নি এইচএসসি পরীক্ষা। এবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবলেও চলমান পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নির্ধারিত সময় থেকে আরও দু-তিন মাস পিছিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। 

বুধবার (৫ মে) এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি ও সেপ্টেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কিন্তু সেটি হয়তো আরও দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা যায় না। কারণ তাদের পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।’

প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী জুনে এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নেওয়ার কথা রয়েছে। আবার সরকারের এমন চিন্তাও আছে যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে না। করোনা কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে তাও কেউ বলতে পারছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত বছর এসএসসি ও এইচএসসি’র পরীক্ষার্থীদের অটোপাস করিয়ে দিলেও এবার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু গত বছরের তুলনায় বেশি হলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে চলছে দীর্ঘ আলোচনা।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি ও সেপ্টেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সেটি হয়তো আরও দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা যায় না। কারণ তাদের পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষা সচিব বলেন, দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। আমাদের আগের ঘোষণা অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত ছিল তা এখনো বহাল রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
Share:

দেশে একদিনে শনাক্ত-মৃত্যু কমছে, ২৪ ঘণ্টায় ৫০ প্রাণহানি।

 করোনাভাইরাস নিয়ে বুধবার (৫ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৪৩৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৫ জন। 

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ সময়ে নতুন করে ১৭৪২ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার দেশে ১ হাজার ৯১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৬১ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৭৫৫ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ জন। বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (৫ মে) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ১৩ হাজার ৬৪৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৭ জনের শরীরে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৪১ হাজার ২৪ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ কোটি ২৪ লাখ ২৭ হাজার ২৪৬ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৪০৯ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণ হয়েছেন ২ কোটি ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক ৩ হাজার ৭৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৯ জনের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।

গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারো সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত।
Share:

Tuesday, May 4, 2021

তৃতীয়বার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ মমতার।

মুখ্যমন্ত্রী পদে বুধবার (০৫ মে) শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় বারের মতো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকের পরে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। সোমবার (০৩ মে) কালীঘাটে সংবাদ সম্মেলনের পরে তৃণমূল কার্যালয়ে সংসদীয় দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মমতা।

বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবাংলার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজভবনে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

এরআগে রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন মমতা। রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের আগের প্রথা মেনেই এই পদত্যাগ করেন তিনি। রাজভবনে এসে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন মমতা। রাজ্যপাল ধনখড় সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেন।

এরপরেই ওই টুইট করে রাজ্যপাল জানান, মুখ্যমন্ত্রী তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তা গৃহীতও হয়েছে। তবে পরবর্তী সরকার গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত তাকেই দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই টুইটের সঙ্গে রাজভবনে মমতা এবং ধনখড়ের একটি ভিডিও শেয়ার করেন রাজ্যপাল। তাতে বেশ হালকা মেজাজেই কথা বলতে দেখা যায় দু’জনকে। এর কিছুক্ষণ পরেই টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার শপথ নেয়ার দিনক্ষণের ঘোষণা দিলেন রাজ্যপাল। 

বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সামনে এসে ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মমতাই। পার্থ আরও জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৫ তারিখ শপথ নেবেন মমতা। তার পরে ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন বাকি বিধায়করা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিধানসভার স্পিকার হবেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই। স্পিকার নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। 

মমতা সোমবার দুপুরেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তার জন্য সময়ও চেয়েছেন রাজ্যপালের কাছে। ৭টা নাগাদ দেখা করতে চান বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। সন্ধ্যায় ঠিক ৬টা বেজে ৪৫ মিনিটে মমতা পৌঁছে যান রাজভবনে। রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে তার।

বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হলেই রাজ্য সরকার তদারকি সরকারের ভূমিকা নেয়। সোমবার সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকেই পদত্যাগ করলেন তৃণমূলনেত্রী।

আগামী ৫ মে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণ করার সময় মমতার সঙ্গে শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও। বাকিরা শপথ নেবেন বৃহস্পতিবার।
Share:

দেশে আরো ৬৫ মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৩৯ জন।

 করোনাভাইরাস নিয়ে সোমবার (০৩ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৩৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৬৫ জন। এর আগে গতকাল ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬৪৪ জন। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক হাজার ৭৩৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ৯ হাজার ৯৬০ জন এবং নতুন করে ৬ লাখ ৮০ হাজার ১৬০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ১৬ হাজার ২১৪ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৬১৩ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ কোটি ৭৯ লাখ এক হাজার ৪৬৪ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ৪৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬২ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৭১৫ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৫ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ, তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে, এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
Share:

Sunday, May 2, 2021

লকডাউন বাড়তে পারে ১৫ মে পর্যন্ত,খুব শিগগিরই জানা যাবে।

লকডাউন দেয়ায় দেশে করোনা সংক্রমণের হার কমছে। ঈদ পর্যন্ত এই তিন দিন বন্ধ থাকলে লকডাউন ১৫ মে পর্যন্ত টানা সম্ভব। ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার এভাবে ভাবছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
 
৫ মে পর্যন্ত লকডাউন দিয়ে রেখেছে সরকার। এরপর থেকে ঈদ পর্যন্ত মাত্র তিন কর্মদিবসে সরকারি ছুটি নেই। ঐ তিনদিন অফিস বন্ধ রাখলে টানা লকডাউন চলতে পারে ১৫ মে পর্যন্ত। করোনা মোকাবিলায় এরকম ভাবছে সরকার। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, খুব শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
 
এরপর ঈদের ছুটি শুরু হবে ১২ মে থেকে। চাঁদ দেখা সা’পেক্ষে ১৩ বা ১৪ মে হতে পারে ঈদ। এর আগে কর্মদিবস আছে ৬ মে বৃহস্পতিবার। ৭ ও ৮মে শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি। ৯ মে রোববার খোলা থাকলেও ১০ মে শবে কদরের বন্ধ। আর শেষ কর্মদিবস ১১ মে মঙ্গলবার। ঐ তিনদিন অফিস বন্ধ রাখলে টানা লকডাউন চলতে পারে ১৫ মে পর্যন্ত। করোনা মোকাবিলায় এরকম ভাবছে সরকার। জানা গেছে, লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা থাকলেও ঈদের আগে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হতে পারে।
Share:

করোনায় আরো ৬০ জনের মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ১১,৫১০ জন।

করোনাভাইরাস নিয়ে শনিবার (০১ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৪৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন। 
 
দেশে মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৫১০ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরো ১৪৫২ জনের শরীরে। এতে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জন। 

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (০১ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১৪ হাজার ২৬৬ জন এবং নতুন করে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৯৮ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৩ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ২০ লাখ ২ হাজার ৩৬৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ৯২ লাখ ৭১ হাজার ৪৭ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩১ লাখ ৩ হাজার ৯৭৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৫ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ জন।
Share:

Wednesday, April 28, 2021

অ্যামেরিকা DV-2022 লটারি প্রোগ্রামে অনলাইনে আবেদনের যোগ্যতা ।

USA DIVERSITY VISA (DV) 2022 APPLICATION PROCESS

USA DIVERSITY VISA (DV) 2022 APPLICATION PROCESS. The United States government issues 55,000 Green Cards every year by the USA Green Card Lottery program. Applicants for US visas are randomly chosen in the Green Card Lottery. Selected applicants and their immediate family members will receive diversity immigrant visas, which will give them the legal right to live and work permanently in the United States. You and your family can win green cards, but you must apply immediately for the Green Card Lottery. If you are interested to application for USA Diversity Visa (DV 2022) Program then you should be read this full article. Here we are described detail how to application for USA Green card and details. Right now all of Bangladeshi can’t apply directly DV Lottery or USA green Card 2022 program but some of citizen are eligible for application. Please read this full article and we are described step by step how can few Bangladeshi people application.

USA DIVERSITY VISA (DV) 2022

Before any applicant can enter the DV-2022 Green Card Lottery they must be born in a qualifying country. Qualifying countries are defines as countries with low immigration rates to the US. If an applicant was born in a county with a high US immigration rate they would be excluded from the DV Lottery. Below is a list that details the countries whose natives are currently excluded from participating in the Green Card Lottery. If you are a Citizen of others country that are allowed to USA Green card application then you can easily application USA DIVERSITY VISA (DV) 2022.

US Government Green Card Lottery | Green Card

The US Government Green Card Lottery is a program that was created by the United States for the purpose of issuing visas to immigrants that reside in countries which have less than 55,000 immigrants coming to the US within five years. The Green Card Lottery is offered every year by the United States Citizenship and Immigration Services USCIS. So if you are interested to get USA green card then you must be application before last date. USA immigration check your application. Also if you are a qualified application then you can Apply USA Green card. So read this full article to get more information about USA immigration system. We are try to describe everything step by step. So don’t worry.

When can you apply for the Green Card Lottery?
Unfortunately, demand for Green Cards can be greater than supply. And preference is given to those who are spouses and children of U.S. Citizens, or those who are highly qualified workers. The Green Card Lottery is a way to still come to America, even if you don’t fall into one of those categories. At first you must be fill up all of the requirement for USA green card application. If your all of provided information is correct for this application then you have to possibility to select USA green card.

If you want then their official govt website at https://dvprogram.state.gov/. If you think you are a qualifier candidate then you can apply for this USA green card visa. Otherwise your application should be rejected. Also you must be need everything real information. Don’t try to apply by fake information. Then your Green card or USA visa application automatically rejected.  Hope that you can understand.

DV 2022 Lottery Apply from here : Check if you are qualify for DV program
From above this option you can able to Apply for USA Green card Application program if you are a qualified candidate. So hope that you can easily application for USA Green card program.

Do you qualify to enter the American DV-2022 Diversity Visa Green Card Lottery?

        Brazil
        Colombia
        China (mainland only)
        Dominican Republic
        El Salvador
        United Kingdom (except Northern Ireland)
        Guatemala
        Haiti
        Bangladesh
        India
       Jamaica
       Vietnam
       Philippines
       Mexico
       Pakistan
      Nigeria
      South Korea
      Canada
      USA Green Card Lottery Online Application Form

How Can a Bangladeshi Citizen Apply For USA DV Lottery 2022?

In the Green Card Program of 2022 Bangladeshi citizen can’t apply directly for DV Lottery. But only people can apply whose spouse lives in the eligible country. USA DV Visa For Bangladesh. Have you been born in a country where the original citizens were ineligible, but where none of your parents were born or lived legally at the time of your birth? If yes, you can claim the country of birth of one of your parents if it is a country where its local citizens are eligible for the DV-2022 program.

Way 2: Each DV applicant must meet the DV program’s teaching / work experience requirements:

Defined as the successful completion of at least a high school education or its equivalent, a 12-year course in formal primary and secondary education or A profession requires at least two years of training or experience to gain two years of work experience in the last five years.

Which Countries Are Not Eligible Directly for USA DV Lottery 2022?

However, this time citizens of 18 countries including Bangladesh will not be able to apply for DB. According to the US State Department, these countries have sent more than 50,000 immigrants to the United States in the last five years. Apart from Bangladesh, citizens of India, Pakistan, Brazil, Canada, Colombia, China, Philippines, Dominican Republic, Ecuador, El Salvador, Haiti, Jamaica, Mexico, Nigeria, Peru, South Korea, Vietnam and United Kingdom (excluding Northern Ireland) are not eligible directly for DV 2022.
Necessary Requirements while applying for USA DV Lottery 2022

Please Carefully fill out the following on the DV website’s prescribed application form:
1. Old name of the applicant
2. Date of birth
3. Place of Birth (in the city / district where the candidate was born / as mentioned in the birth registration card)
4. Country
5. Photo of the applicant
6.Full address
7.Currently living in the country.
8. Phone number (if any)
9. E-mail address (if any)
10. Highest educational qualification
11. Marital status
12. Number of children (if the child is under 21 years of age)
13. Husband / Wife Information (If the applicant is a husband, the wife’s information should be given in this section)
14. Child information
Share:

Monday, April 26, 2021

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর নামাজ নিয়ে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা।

করোনা মহামারির মধ্যে আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত নিয়ে কয়েক দফা নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৬ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে আদায়ের অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সোমবার এক আদেশে এই অনুরোধ করা হয়।
 
আদেশে বলা হয়েছে, ইসলামি শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় এ বছর ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাতের আয়োজন করা যাবে।
 
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আদেশে আরো বলা হয়েছে, ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগেই সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন। এ ছাড়া মসজিদে অজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আসা মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। আর ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
 
নির্দেশনায় যেসব শর্ত মেনে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো:
 
১। ইসলামি শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত করা যাবে।
 
২। ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৩। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৪। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবানপানি রাখতে হবে।
৫। প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৬। ঈদের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
 ৭। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
৮। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
৯। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে;
১০। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
১১। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিন-এর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
Share:

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন আরও বাড়ানোর ঘোষণা।

 সোমবার (২৬ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বিধিনিষেধের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বিধিনিষেধ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী এই বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা ছিল। সোমবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।


জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনস্বাস্থ্যবিদদের পরামর্শে বিধিনিষেধ এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরো দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরো কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এর মধ্যে অবশ্য গতকাল রোববার থেকে দোকানপাট ও শপিং মল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।

১. সব সরকারি, আধাসরকারি, সায়ত্ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
৪. শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের স্ব স্বপ্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৫.  আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
৬. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়ত করা যাবে।
৭. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে।
৮. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৯. বোরো ধান কাটার জরুরি প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।
১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
১১. স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেবেন।
১২. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মা ও তারাবি নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে।
১৩. এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারে।
যদিও আগের লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারির পর দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয় সরকার। তবে নতুন করে আর এক সপ্তাহের যে লকডাউনের ঘোষণা দিল সরকার তা প্রজ্ঞাপন জারির পর জানা যাবে কী কী নির্দেশনা সেখানে আছে।

Share:

করোনায় দেশে আরও ৯৭ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩০৬ জন।

 করোনাভাইরাস নিয়ে সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ২৪১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ জন।


২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩০৬ জন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৮ জন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৪১ জন। আর এখন পর্যন্ত সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৮৬৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ৭৮৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৬১ জন ও নারী ৩৬ জন। ঢাকা বিভাগেরই রয়েছেন ৬৩ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১২, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৬, বরিশালে ৩, সিলেটে ৬, ময়মনসিংহে ১ ও রংপুরে ২ জন রয়েছেন। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। গত একদিনে মৃত্যুদের বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ ৫৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ এর মধ্যে ২১ জন, ৪১ থেকে ৫০ এর মধ্যে ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ এর মধ্যে ৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন ও ২১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ৯ হাজার ৯২৪ জন এবং নতুন করে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৩৪৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ৭৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৯ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার ৮৭৩ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ২৮ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৫২ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৩০০ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৯৫ হাজার ১১৬ জন।

Share:

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner