Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Thursday, May 6, 2021

দেশে একদিনে শনাক্ত-মৃত্যু কমছে, ২৪ ঘণ্টায় ৫০ প্রাণহানি।

 করোনাভাইরাস নিয়ে বুধবার (৫ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৪৩৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৫ জন। 

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ সময়ে নতুন করে ১৭৪২ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার দেশে ১ হাজার ৯১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৬১ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৭৫৫ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ জন। বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (৫ মে) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ১৩ হাজার ৬৪৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৭ জনের শরীরে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৪১ হাজার ২৪ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ কোটি ২৪ লাখ ২৭ হাজার ২৪৬ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৪০৯ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণ হয়েছেন ২ কোটি ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক ৩ হাজার ৭৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৯ জনের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।

গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারো সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত।
Share:

0 comments:

Post a Comment

Please do not enter any link in the comment Box

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner