গেল বছর করোনাভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠিত হয়নি এইচএসসি পরীক্ষা। এবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবলেও চলমান পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নির্ধারিত সময় থেকে আরও দু-তিন মাস পিছিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
বুধবার (৫ মে) এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি ও সেপ্টেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কিন্তু সেটি হয়তো আরও দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা যায় না। কারণ তাদের পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।’
প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী জুনে এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নেওয়ার কথা রয়েছে। আবার সরকারের এমন চিন্তাও আছে যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে না। করোনা কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে তাও কেউ বলতে পারছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত বছর এসএসসি ও এইচএসসি’র পরীক্ষার্থীদের অটোপাস করিয়ে দিলেও এবার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু গত বছরের তুলনায় বেশি হলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে চলছে দীর্ঘ আলোচনা।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি ও সেপ্টেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সেটি হয়তো আরও দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা যায় না। কারণ তাদের পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষা সচিব বলেন, দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। আমাদের আগের ঘোষণা অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত ছিল তা এখনো বহাল রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box