Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Thursday, May 6, 2021

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভবনা।

গেল বছর করোনাভাইরাসের কারণে অনুষ্ঠিত হয়নি এইচএসসি পরীক্ষা। এবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবলেও চলমান পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নির্ধারিত সময় থেকে আরও দু-তিন মাস পিছিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। 

বুধবার (৫ মে) এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি ও সেপ্টেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কিন্তু সেটি হয়তো আরও দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা যায় না। কারণ তাদের পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।’

প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী জুনে এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নেওয়ার কথা রয়েছে। আবার সরকারের এমন চিন্তাও আছে যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে না। করোনা কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে তাও কেউ বলতে পারছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত বছর এসএসসি ও এইচএসসি’র পরীক্ষার্থীদের অটোপাস করিয়ে দিলেও এবার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু গত বছরের তুলনায় বেশি হলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে চলছে দীর্ঘ আলোচনা।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে এসএসসি ও সেপ্টেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সেটি হয়তো আরও দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা যায় না। কারণ তাদের পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষা সচিব বলেন, দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। আমাদের আগের ঘোষণা অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত ছিল তা এখনো বহাল রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
Share:

দেশে একদিনে শনাক্ত-মৃত্যু কমছে, ২৪ ঘণ্টায় ৫০ প্রাণহানি।

 করোনাভাইরাস নিয়ে বুধবার (৫ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৪৩৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৫ জন। 

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ সময়ে নতুন করে ১৭৪২ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার দেশে ১ হাজার ৯১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মৃত্যু হয়েছিল ৬১ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৭৫৫ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ জন। বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (৫ মে) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ১৩ হাজার ৬৪৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৭ জনের শরীরে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৪১ হাজার ২৪ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ কোটি ২৪ লাখ ২৭ হাজার ২৪৬ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৪০৯ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণ হয়েছেন ২ কোটি ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক ৩ হাজার ৭৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৯ জনের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।

গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারো সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত।
Share:

Tuesday, May 4, 2021

তৃতীয়বার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ মমতার।

মুখ্যমন্ত্রী পদে বুধবার (০৫ মে) শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় বারের মতো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকের পরে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। সোমবার (০৩ মে) কালীঘাটে সংবাদ সম্মেলনের পরে তৃণমূল কার্যালয়ে সংসদীয় দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মমতা।

বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবাংলার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজভবনে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

এরআগে রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন মমতা। রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের আগের প্রথা মেনেই এই পদত্যাগ করেন তিনি। রাজভবনে এসে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন মমতা। রাজ্যপাল ধনখড় সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেন।

এরপরেই ওই টুইট করে রাজ্যপাল জানান, মুখ্যমন্ত্রী তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তা গৃহীতও হয়েছে। তবে পরবর্তী সরকার গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত তাকেই দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই টুইটের সঙ্গে রাজভবনে মমতা এবং ধনখড়ের একটি ভিডিও শেয়ার করেন রাজ্যপাল। তাতে বেশ হালকা মেজাজেই কথা বলতে দেখা যায় দু’জনকে। এর কিছুক্ষণ পরেই টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার শপথ নেয়ার দিনক্ষণের ঘোষণা দিলেন রাজ্যপাল। 

বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সামনে এসে ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মমতাই। পার্থ আরও জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৫ তারিখ শপথ নেবেন মমতা। তার পরে ৬ ও ৭ মে শপথ নেবেন বাকি বিধায়করা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিধানসভার স্পিকার হবেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই। স্পিকার নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। 

মমতা সোমবার দুপুরেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তার জন্য সময়ও চেয়েছেন রাজ্যপালের কাছে। ৭টা নাগাদ দেখা করতে চান বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। সন্ধ্যায় ঠিক ৬টা বেজে ৪৫ মিনিটে মমতা পৌঁছে যান রাজভবনে। রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে তার।

বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হলেই রাজ্য সরকার তদারকি সরকারের ভূমিকা নেয়। সোমবার সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকেই পদত্যাগ করলেন তৃণমূলনেত্রী।

আগামী ৫ মে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণ করার সময় মমতার সঙ্গে শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও। বাকিরা শপথ নেবেন বৃহস্পতিবার।
Share:

দেশে আরো ৬৫ মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৩৯ জন।

 করোনাভাইরাস নিয়ে সোমবার (০৩ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৮৩৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৬৫ জন। এর আগে গতকাল ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬৪৪ জন। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক হাজার ৭৩৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ৯ হাজার ৯৬০ জন এবং নতুন করে ৬ লাখ ৮০ হাজার ১৬০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ১৬ হাজার ২১৪ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৬১৩ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ কোটি ৭৯ লাখ এক হাজার ৪৬৪ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ৪৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬২ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৭১৫ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৪৫ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ, তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে, এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
Share:

Sunday, May 2, 2021

লকডাউন বাড়তে পারে ১৫ মে পর্যন্ত,খুব শিগগিরই জানা যাবে।

লকডাউন দেয়ায় দেশে করোনা সংক্রমণের হার কমছে। ঈদ পর্যন্ত এই তিন দিন বন্ধ থাকলে লকডাউন ১৫ মে পর্যন্ত টানা সম্ভব। ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার এভাবে ভাবছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
 
৫ মে পর্যন্ত লকডাউন দিয়ে রেখেছে সরকার। এরপর থেকে ঈদ পর্যন্ত মাত্র তিন কর্মদিবসে সরকারি ছুটি নেই। ঐ তিনদিন অফিস বন্ধ রাখলে টানা লকডাউন চলতে পারে ১৫ মে পর্যন্ত। করোনা মোকাবিলায় এরকম ভাবছে সরকার। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, খুব শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
 
এরপর ঈদের ছুটি শুরু হবে ১২ মে থেকে। চাঁদ দেখা সা’পেক্ষে ১৩ বা ১৪ মে হতে পারে ঈদ। এর আগে কর্মদিবস আছে ৬ মে বৃহস্পতিবার। ৭ ও ৮মে শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি। ৯ মে রোববার খোলা থাকলেও ১০ মে শবে কদরের বন্ধ। আর শেষ কর্মদিবস ১১ মে মঙ্গলবার। ঐ তিনদিন অফিস বন্ধ রাখলে টানা লকডাউন চলতে পারে ১৫ মে পর্যন্ত। করোনা মোকাবিলায় এরকম ভাবছে সরকার। জানা গেছে, লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা থাকলেও ঈদের আগে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হতে পারে।
Share:

করোনায় আরো ৬০ জনের মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ১১,৫১০ জন।

করোনাভাইরাস নিয়ে শনিবার (০১ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৪৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন। 
 
দেশে মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৫১০ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরো ১৪৫২ জনের শরীরে। এতে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জন। 

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (০১ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১৪ হাজার ২৬৬ জন এবং নতুন করে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৯৮ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৩ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ২০ লাখ ২ হাজার ৩৬৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ৯২ লাখ ৭১ হাজার ৪৭ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩১ লাখ ৩ হাজার ৯৭৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৫ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ জন।
Share:

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner