Wednesday, July 29, 2020
সারাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০৩৫ হাজার জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ৩০০৯ | ২৩২৪৯৪ |
মৃত্যৃ | ৩৫ | ৩০৩৫ |
সুস্থ | ২৮৭৮ | ১৩০২৯০ |
পরীক্ষা | ১৪১২৭ |
Tuesday, July 28, 2020
সারাদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৯৬০ | ২২৯১৮৫ |
মৃত্যৃ | ৩৫ | ৩০০০ |
সুস্থ | ১৭৩১ | ১২৭৪১৪ |
পরীক্ষা | ১২৭১৪ | ১১৩৭১৪১ |
Monday, July 27, 2020
সারাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২৭৫২ জনের দেহে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৭৫২ | ২২৬২২৫ |
মৃত্যৃ | ৩৭ | ২৯৬৫ |
সুস্থ | ১৮০১ | ১২৫৬৮৩ |
পরীক্ষা | ১২৮৫৯ | ১১২৪৪২৭ |
Sunday, July 26, 2020
সারাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৯২৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২২৭৫ | ২২৩৪৫৩ |
মৃত্যৃ | ৫৪ | ২৯২৮ |
সুস্থ | ১৭৯২ | ১২৩৮৮২ |
পরীক্ষা | ১০০৭৮ | ১১১১৫৫৮ |
Saturday, July 25, 2020
করোনাভাইরাসে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৮৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৫২০ | ২২১১৭৮ |
মৃত্যৃ | ৩৮ | ২৮৭৪ |
সুস্থ | ১১১৪ | ১২২০৯০ |
পরীক্ষা | ১০৪৪৬ | |
চুন ছাড়াই ভুঁড়ি পরিষ্কারের সহজ দুইটি কৌশল।
Friday, July 24, 2020
বাংলা চলচ্চিত্রে 'মহানায়ক' উত্তম কুমার
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৪৮ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৫৪৮ | ২১৮৬৫৮ |
মৃত্যৃ | ৩৫ | ২৮৩৬ |
সুস্থ | ১৭৬৮ | ১২০৯৭৬ |
পরীক্ষা | ১২০২৭ | ১০৯১০৩৪ |
Thursday, July 23, 2020
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।
মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কেনার উপায়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ট্রেন চলাচলে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বনের পথে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এত দিন আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ১০ দিন আগে থেকে বিক্রি করা হতো এখন তা পাঁচ দিনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসএমএস এর মাধ্যমেই করতে পারবেন। সকল ঝামেলা্ এড়িয়ে এবার এসএমএস এর মাধ্যমে টিকেট ক্রয়/বুকিং কাজ সেরে ফেলুন ঘরে বসেই শুধুমাত্র *১৩১# কোড ব্যবহার করে।
ওয়েবসাইট থেকে
টিকেট কেনার উপায়।
আপনি চাইলে মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড ছাড়াও
বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকেট কেনার ওয়েবসাইট থেকেও একই পদ্ধতিতে টিকেট ক্রয় করতে
পারবেন।ওয়েবসাইটের ঠিকানাঃ (www.esheba.cnsbd.com)
করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ২ লাখ ১৬ হাজার ১১০ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৮৫৬ | ২১৬১১০ |
মৃত্যৃ | ৫০ | ২৮০১ |
সুস্থ | ২০০৬ | ১১৯২০৮ |
পরীক্ষা | ১২৩৯৮ | ১০৯৮৯৮৭ |
Wednesday, July 22, 2020
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যের সংখ্যা ৪২ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৭৫১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৭৪৪ | ২১৩২৫৪ |
মৃত্যৃ | ৪২ | ২৭৫১ |
সুস্থ | ১৮০৫ | ১১৭২০২ |
পরীক্ষা | ১২০৫০ | ১০৮৬৫৮৯ |
Tuesday, July 21, 2020
পবিত্র হজ ৩০ জুলাই
প্রকাশিত হল একাদশে ভর্তির সময় সূচি ।
![]() |
ছবি সংগৃহীত-প্রকাশিত হল একাদশে ভর্তির সময় সূচি । |
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির বিস্তারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। দশটি বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। উত্তীণরাই কলেজে অনলাইনে ভর্তি হওয়ার আবেদন করবে। এবারে পাশ করা ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেনীতে ভর্তির জন্য আবেদন করবে।
সোমবার (২০ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত সূচি প্রকাশ করা হয়। এর আগের দিন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে এক অনলাইন সভায় আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে ৯ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। তবে জাতীয় শোক দিবসে অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে।
প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট রাত ৮টায়। শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ১ম পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে) করতে হবে ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৩১ আগস্ট থেকে চলবে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দের ক্রম অনুসারে ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে একই দিন (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টাতেই।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ২য় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে) ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল এবং ৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ৩য় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে) ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। আর কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায়। ভর্তি চলবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ৫টি কলেজে পছন্দক্রম অনুসারে আবেদন করতে হবে। তবে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম অনুসারে আবেদন করতে পারবে। মেধা এবং পছন্দক্রম অনুসারে নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তিরজন্য মনোনীত করা হবে। শিক্ষার্থীদের (www.xiclassadmission.gov.bd) থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আর নগদ, সোনালী ব্যাংক, টেলিটক, বিকাশ, শিওর ক্যাশ এবং রকেটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা যাবে। একাদশে ভর্তির জন্য সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭০৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ৩০৫৭ | ২১০৫১০ |
মৃত্যৃ | ৪১ | ২৭০৯ |
সুস্থ | ১৮৪১ | ১১৫৩৯৭ |
পরীক্ষা | ১২৮৯৮ | ১০৬১৬৪১ |
Monday, July 20, 2020
পবিত্র ঈদুল আজহা, চাঁদের খবর জানতে সন্ধ্যায় বসছে, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে,নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৬৬৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৯২৮ | ২০৭৪৫৩ |
মৃত্যৃ | ৫০ | ২৬৬৮ |
সুস্থ | ১৯১৪ | ১১৩৫৫৬ |
পরীক্ষা | ১৩৩৬২ | ১০৬১৬ |
Sunday, July 19, 2020
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৫৯ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৪৫৯ | ২০২০৬৬ |
মৃত্যৃ | ৩৭ | ২৫৮১ |
সুস্থ | ১৫৪৬ | ১১০০৯৮ |
পরীক্ষা | ১০৬১৫ | ১০১৭৬৭৪ |
Saturday, July 18, 2020
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়াল।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৭০৯ | ২০২০৬৬ |
মৃত্যৃ | ৩৪ | ২৫৮১ |
সুস্থ | ১৩৭৩ | ১১০০৯৮ |
পরীক্ষা | ১০৯২৩ | ১০০৬৭৫১ |
Friday, July 17, 2020
নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৪৭ জন।
Thursday, July 16, 2020
সারাদেশে করোনা মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৪৯৬ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৭৩৩ | ১৯৬৩২৩ |
মৃত্যৃ | ৩৯ | ২৪৯৬ |
সুস্থ | ১৯৪০ | ১০৬৯৬৩ |
পরীক্ষা | ১২৮৮৯ | ৯৯৩২৯১ |
Wednesday, July 15, 2020
সারাদেশে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৪৫৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ৩৫৩৩ | ১৯৩৫৯০ |
মৃত্যৃ | ৩৩ | ২৪৫৭ |
সুস্থ | ১৭৯৬ | ১০৫০২৩ |
পরীক্ষা | ১৪০০২ | ৯৮০৪০২ |
Tuesday, July 14, 2020
দেশে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৪২৪।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ৩১৬৩ | ১৮৬৮৯৪ |
মৃত্যৃ | ৩৩ | ২৪২৪ |
সুস্থ | ৪৯১০ | ৯৮৩১৭ |
পরীক্ষা | ১৩৫৫৪ |
Monday, July 13, 2020
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৯ জন। মৃত্যু ৩৯ জন এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৩৯১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ৩০৯৯ | |
মৃত্যৃ | ৩৯ | ২৩৯১ |
সুস্থ | ৪৭০৩ | ৯৮৩১৭ |
পরীক্ষা | ১২৪৩০ |
Sunday, July 12, 2020
সারাদেশে আরও ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৩৫২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৬৬৬ | ১৮৩৭৯৫ |
মৃত্যৃ | ৪৭ | ২৩৫২ |
সুস্থ | ৫৫৮০ | ৯৩৬১৪ |
পরীক্ষা | ১১০৫৯ | ৯২৯৪৬৫ |
Saturday, July 11, 2020
বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জনে। এছাড়া আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৬৮৬ | ১৮১১২৯ |
মৃত্যৃ | ৩০ | ২৩৫০ |
সুস্থ | ১৬২৮ | ৮৮০৩৪ |
পরীক্ষা | ১১১৯৩ | ৯২৯৪৬৫ |
Friday, July 10, 2020
তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজানের পাহাড়ি ঢল গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ফের তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পরিবাররা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ ঘন্টার ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিস্তার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ক্রমে কমে গিয়ে বন্যার উন্নতি ঘটে। এক সাপ্তাহে না যেতেই ফের উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তবে তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলের সবজি, বাদাম ও ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনেক মৎস খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অনেকের ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে শনিবার সকালে পানি কমে যেতে পারে।
সারাদেশে আরও ৩৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৭৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় | মোট | |
শনাক্ত | ২৯৪৯ | ১৭৮৪৪৩ |
মৃত্যু | ৩৭ | ২২৭৫ |
সুস্থ | ১৮৬২ | ৮৬৪৫০ |
পরীক্ষা | ১৩৪৮৮ | ৯১৮২৭২ |
Thursday, July 9, 2020
ডিপ্রেসন কাটাবেন যেভাবে?
মন খারাপ বেশি দিন থাকে না। আসে, চলেও যায়। অতএব সাধারণ মন খারাপ ও ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেসন এক নয়। ডিপ্রেসন বাড়লে একসময় রোগীর দেহ আর সঙ্গ দেয় না। শরীরের দখল নেয় বিপুল ক্লান্তি। রোগী ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে থাকেন পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে। সামাজিক দায়িত্ব পালন ও কর্মক্ষেত্রে কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে দেখা দেয় পাহাড়প্রমাণ অনীহা। দীর্ঘ বিষাদ আচ্ছন্ন করে রাখে মস্তিষ্ককে। আচ্ছন্ন ভাব থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারেন না।
অবসাদ বুঝবেন কীভাবে?
বিষণ্ণতা যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় দীর্ঘস্থায়ী হয়, দিনের বেশিরভাগ সময় মন খারাপ থাকে, আনন্দের তিলমাত্র অনুভূতিও চলে যায়, বুঝতে হবে সাধারণ মন খারাপ পরিণত হয়েছে অবসাদে।
গভীর অবসাদে মানুষ আর নিজের মনের কথা কাউকে বলতে পারে না। চারিদিকে অদৃশ্য দেওয়াল তুলে দেন।
নিজের, নিজের ভবিষ্যৎ এবং অন্যের সম্পর্কে বিরামহীন নেতিবাচক চিন্তা করে যান।
পড়াশোনা, টিভি দেখা, মোবাইল ঘাঁটা—একটানা মনোযোগ দিয়ে কিছু করা অসম্ভব হয়ে যায়।
কেউ খাওয়া কমান। কেউ বাড়িয়ে দেন। কারও ঘুম কমে। কারও ঘুমের সময়কাল বাড়ে।
শরীরে ও মনে অপার ক্লান্তি বোধ করেন।
কিছুতে আনন্দ পান না। কমে যায় শারীরিক ঘনিষ্ঠতার ইচ্ছে।
মেয়েদের ঝুঁকি বেশি
ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঝুঁকি বেশি। কারণ পুরুষের তুলনায় হর্মোনের স্রোতের সঙ্গে মহিলাদের লড়াই করতে হয় অনেক বেশি। বয়ঃসন্ধিকালে যখন একসঙ্গে হর্মোনের ঢেউ আসে, দেহে মনে ঝড়ের মতো পরিবর্তন হতে থাকে, শরীরের এই পরিবর্তনের সঙ্গে সব মেয়ে সমানভাবে যুঝে নিতে পারে না। ঘন ঘন মন মেজাজের পরিবর্তন হয়। সেখান থেকে আসতে পারে ডিপ্রেসন। যেমন, প্রসবের অব্যবহিত পর হর্মোনের ভারসাম্যহীনতা ডেকে আনে পিপিডি বা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেসন।
মেনোপজের সময় হর্মোনের নিরাপত্তা চলে যাওয়ায় মহিলাদের মনে অসম্ভব চাপ পড়ে। সেখান থেকেও ডিপ্রেসন আসা অসম্ভব নয়।
শিশু ও বয়স্কদের ডিপ্রেসন
বাচ্চাদেরও ডিপ্রেসন দেখা দিতে পারে। ছোটদের ডিপ্রেসনের লক্ষণ হল— মেজাজ খিটখিটে হওয়া। রেজাল্ট খারাপ হতেও দেখা যায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপানের আসক্তি বেড়ে যায়।
বয়স্ক মানুষের আত্মীয়রা ধীরে ধীরে দূরে চলে যায়। কথা বলার লোকের অভাব হয়। শারীরিক অসুস্থতাও থাকে। তাই ডিপ্রেসন আসা অসম্ভব নয়। অনেক সময় ডিমেনশিয়া ও ডিপ্রেসন মিলেমিশেও থাকে। লক্ষণগুলি হল— কথা বলা কমিয়ে দেওয়া।
সুগার ও ডিপ্রেসন
হাইপোথাইরয়েড, ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীদের ডিপ্রেসনে ভোগার ঝুঁকি কিন্তু বেশি থাকে।
মস্তিষ্কের অন্দরে কী হয়?
হিপ্পোক্যাম্পাসের ভূমিকা: ব্রেনে হিপ্পোক্যাম্পাস নামে একটি অংশ থেকে আজীবন নতুন নিউরনের জোগান মেলে। এই কারণেই সারাজীবন ধরে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করে মানুষ। ধারাবাহিক স্ট্রেসের কারণে অতিরিক্ত কর্টিজল সেই হিপ্পোক্যাম্পাসের ক্ষতি করতে পারে। নতুন কিছু শেখার ইচ্ছে চলে যায়।
নতুন গবেষণা: রোগীদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত কারণে ব্রেনের নিউরনগুলি ছোট হয়ে এসেছে। হ্রাস পেয়েছে উদ্দীপনা বয়ে নিয়ে যাওয়ায় দায়ী নিউরোট্রান্সমিটার। কমেছে সেরেটোনিন, নরএপিনেফ্রিন, ডোপামিনের ছোটাছুটি।
দুশ্চিন্তা: স্ট্রেস বেশি হলে ব্রেনের হাইপোথ্যালামাসের নির্দেশে অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড থেকে বেশি পরিমাণে কর্টিজল ক্ষরণ হয় যা ব্রেনের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
কী কী ক্ষতি?
বাচ্চাদের পঠনপাঠনে মারাত্মক ক্ষতি হয়।
তরুণ বয়সে ডিপ্রেসন আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ হতে পারে।
পরিণত বয়সে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, নেশায় আসক্তি, কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করে।
বয়স্করা আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
ডিপ্রেসন কাটানোর চিকিৎসা
কগনাইটিভ বিহেভেরিয়াল থেরাপি: ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার পথে অস্বাস্থ্যকর বিশ্বাসও বহন করেন অনেকে। যেমন তাঁকে ভালোবাসা যায় না, তিনি কোনও কাজেরই উপযুক্ত নন, তিনি প্রবলভাবে অসহায় ইত্যাদি। এই ধরনের নেতিবাচক বিশ্বাস ডিপ্রেসনের জন্ম দিতে পারে। কাউন্সেলর বা থেরাপিস্ট রোগীর সঙ্গে কথা বলে এমন বিষবৃক্ষের মতো বিশ্বাসগুলি ধীরে ধীরে মন থেকে উপড়ে ফেলেন। সুস্থ বিশ্বাস প্রোথিত করেন। ডিপ্রেসনের প্রাথমিক ও মাঝারি পর্যায়ের রোগীদের এই ধরনের চিকিৎসা করিয়ে সুফল মেলে।
অ্যাকসেপট্যান্স অ্যান্ড কমিটমেন্ট থেরাপি (এসিটি): অনেকক্ষেত্রে ছোট ছোট মন খারাপ দীর্ঘদিন ধরে বয়ে নিয়ে বেড়ানোর সম্মিলিত ফসল হয় ডিপ্রেসন। এসিটি বলছে, ছোট ছোট মন খারাপগুলোকে স্বীকার করতে শিখুন। সবসময় আনন্দের পিছনে ছুটতে যাবেন না। তাতে মন খারাপ বাড়বে। বরং চুপ করে জীবনকে উপভোগ করুন। কাজ করে যান। আনন্দই একসময় আপনাকে স্পর্শ করে যাবে। এই দর্শন শেখায়—হর্ষের পাশাপাশি বিষাদও জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাতে ক্ষণিকের দুঃখ সহজে মেনে নেওয়া যায়।
ওষুধ: অবসাদের চিকিৎসায় ওষুধ খুব বড় ভূমিকা পালন করে। অবসাদের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসক রোগীকে বেশ কিছু ওধুধ দেন। ওষুধগুলি মস্তিষ্কে সেরেটোনিন, নরএপিনেফ্রিন, ডোপামিনের মতো নিউরো ট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়ায়।
ডিপ্রেসন ও এক্সারসাইজ—
শরীরচর্চা করলে দেহে ডোপামিনের মাত্রা বাড়ে, যা আনন্দদায়ক অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে। নতুন কাজ করায় উৎসাহ তৈরি হয়।
আমাদের দায়িত্ব
অবসাদগ্রস্ত মানুষের কাছে থাকা, তার সঙ্গে কথা বলা, তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলাই রোগীর বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের কাজ। অবশ্য সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতিতে সবসময় হয়তো শারীরিকভাবে রোগীর কাছে পৌঁছনো সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করতে হবে রোগীকে একা না ছাড়ার। নিয়মিত ভিডিও কল, ফোনে যোগাযোগ করে ইতিবাচক কথা বলে যেতে হবে। অবসাদের চোরাবালি থেকে একটা প্রাণকে রক্ষা করার এই একমাত্র উপায়।
বাতাসের মাধ্যমেই মানুষের শরীরে সংক্রামিত হতে পারে, বলছেন দুই শতাধিক বিজ্ঞানী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এতদিন ধরে বলে এসেছে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচলে বা কাশলে তাঁর নাক বা মুখ থেকে বেরিয়ে আসা জলের কণার মাধ্যমেই ভাইরাস অন্যের শরীরে ছড়ায়। কিন্তু, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী একটি গবেষণা করেন। ওই গবেষণাপত্রটি আগামী সপ্তাহে একটি সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হবে। তার আগে ওই গবেষকদলের বক্তব্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতেই করোনা বায়ুবাহিত কি না, সেই পুরনো বিতর্ক ফের সামনে চলে এসেছে। গবেষক দলের যুক্তি, করোনা আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির সঙ্গে বড় বা ছোট ড্রপলেট বাতাসে মিশে যায়। সেগুলি বাতাসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে। বাতাসে মিশে থাকা ওই ড্রপলেট শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে গেলে কোনও ব্যক্তি সংক্রামিত হতে পারেন। এরপরেই বিজ্ঞানীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চিঠি
দিয়ে করোনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা বদলানোর আর্জি জানিয়েছেন।
তবে করোনাকে এখনই বায়ুবাহিত বলতে নারাজ হু। তাদের বক্তব্য, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত যে প্রমাণ মিলেছে তা যথেষ্ট নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক বলেছেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আমরা অবগত। আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম তা খতিয়ে দেখছে। অন্যদিকে, হুয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের প্রধান ড. বেনেডেট্টা অ্যালেগ্রাঞ্জি বলছেন, গত কয়েক মাস ধরে আমরা বেশ কয়েক বার বলেছি যে, বাতাসের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণের সম্ভাবনা যে রয়েছে তা আমরা মেনে নিচ্ছি। তবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। কারণ, তার পক্ষে এখনও ততটা জোরালো প্রমাণ নেই।