মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পেছানো হচ্ছে ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি)। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আসছে বছরের জুন মাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সাধারণত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা এপ্রিলের শুরুতে হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না।
![]() |
সংগৃহীত ছবি |
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। আমরা এখন এমন একটি অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে, খুব বেশি সামনে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। এসএসসির জন্য কি হবে, আগামী এইচএসসির জন্য কি হবে, সব বিষয় নিয়ে আবারও আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কথা বলতে হবে।
তবে সব শিক্ষার্থীকে আমি বলব, যাদের সামনের বছর এসএসসি ও এইচএসসি আছে, তারা অবশ্য অবশ্যই নিজেরা নিজেদের, সবার কাছে বই আছে, যতদূর সম্ভব অনলাইনে অ্যাকসেস করবেন। আপনারা পড়াশোনা চালিয়ে যান। কারণ পরীক্ষা যদি কিছু দিন পরেও হয়, সময়মতো হয়তো করার আমরা চেষ্টা করব, সময়মতো হলে তো হলোই, না হলে যদি কিছু দিন পরেও হয় তা হলেও কিন্তু পরীক্ষা হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাদের প্রস্তুতিটি ভালোভাবে নিয়ে নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি আরও বলেন, ২০২০ সালেল এইচএসসির ফলাফল নিয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে আপিল করা যাবে। এছাড়া এইচএসসির ফল ঘোষণার জন্য বিশেষ অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।ফলাফল প্রস্তুতের জন্য ইতোমধ্যে ৮ সদস্যের পরামর্শক কমিটি টিমে কাজ করছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে ওই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ না কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না। শীতের প্রকোপ সাধারণত মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে। এর মধ্যে ভর্তি-প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে যাবে। এরপর যদি করোনার প্রকোপ কমে যায়, তাহলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প পরিসরে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। তবে সব শ্রেণির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আরও কিছু সময় দেরি হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মোট সাড়ে ৩৪ কোটি নতুন বই ছাপা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে এবার ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি নতুন বছরের বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সেটিকে পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২১ হিসেবে পালন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।