Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Saturday, October 31, 2020

ঢাকার বেপরোয়া কাউন্সিলররা ।

সাধারণ মানুষকে হয়রানি, সন্ত্রাস, টেন্ডার-চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আর এ জন্য তারা গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। ক্ষমতা পেয়েই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

সম্প্রতি ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে মারধরের শিকার হন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর গাড়িটি থেকে কয়েকজন ব্যক্তি নেমে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। জানা যায়, গাড়িতে তখন বসা ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম।
এ ঘটনায় মামলা হয়। এরপর হাজি সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার। পাওয়া যায় নির্যাতন কেন্দ্রের সন্ধান।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেপরোয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার কারণেই বেসামাল আচরণ করছেন কাউন্সিলররা।

মমিনুল হক সাঈদ, গত মেয়াদে তিনি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এলাকায় গড়েছিলেন একক আধিপত্য। জড়িয়ে পড়েন ক্যাসিনো–বাণিজ্যে। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। প্রভাব খাটিয়ে বনে যান বিভিন্ন ক্লাবের নেতা।

কাউন্সিলর হলেও তিনি বোর্ড সভায় নিয়মিত যেতেন না। এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া অসংখ্যবার বিদেশে যান। র‍্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পরপরই মমিনুল হক সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান।

গত মেয়াদে দক্ষিণ সিটির আরেক কাউন্সিলর মঈনুল হক মঞ্জু। চাঁদাবাজির মামলায় ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। চাঁদাবাজি ছাড়াও মঞ্জুর বিরুদ্ধে ভূমি দখল, মাদকের ব্যবসা এবং জুয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।

এবারের সিটি নির্বাচনে নিজেদের পরিচ্ছন্ন দাবি করে জয়ী হয়েছেন সব কাউন্সিলর। কিন্তু ক্ষমতা পেয়ে তাদের অনেকেই এখন বেপরোয়া। কাউন্সিলরদের মধ্যে অনেকেই এখন এলাকার লাভজনক খাত মার্কেট কমিটি, স্কুল-কলেজ পরিচালনা কমিটি, বর্জ্য টেন্ডার, টেম্পু-অটো স্ট্যান্ড দখলে নিয়েছেন। এছাড়াও এলাকায় চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু থেমে থাকলেও কিছু কিছু কাউন্সিলরের বেপরোয়া ভাব থামেনি।

দক্ষিণ ঢাকার মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসে জানান, কাউন্সিলরদের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নেবে না সিটি করপোরেশন। অপরাধ করলে পেতে হবে শাস্তি। কাউন্সিলরদের বেপরোয়া মনোভাব থেকে বেরিয়ে জনগণের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান মেয়র তাপস।
Share:

Friday, October 30, 2020

শীতকালে করোনা মারাত্মক রূপ নিতে পারে।

শীতকালে করোনা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। আসতে পারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউও। তাই শীতে করোনা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বয়স্ক ও নানা জটিল রোগে আক্রান্তদের নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।

শীত আসলেই বেড়ে যায় সর্দি-কাশি, হাঁপানি, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণসহ নানা ধরনের রোগ। বাড়ে হাঁপানি বা ব্রংকাইটিস রোগীদের শ্বাসকষ্ট। শীতে বয়স্ক ব্যক্তিদের নানা জটিলতা দেখা দেয়। তাই করোনাকালে তাদের বিশেষ যত্ন না নিলে বাড়তে পারে মৃত্যু ঝুঁকি।
শীতকাল ( ফাইল ছবি)
শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম কাজ করে। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে খাদ্যগ্রহণ ও জীবনযাপনে বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

শীতে দরজা-জানালা বন্ধ না রেখে আলো-বাতাস ঠিকমত চলাচল করলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে আসছে শীতে করোনাভাইরাস মহামারি আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে শীতের আগে থেকেই উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে।

এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় হাঁচি, কাশি দেয়া হলে বাতাসে জীবাণুর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলো অনেকক্ষণ ধরে ভেসে থাকে। গরমের সময় সেটা যখন দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু শীতের সময় অনেকক্ষণ ধরে বাতাসে থাকে। ফলে মানুষের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।

করোনাভাইরাসের জীবাণুর ক্ষেত্রে যে নিউক্লিয় এনভেলাপ থাকে, অর্থাৎ ভাইরাসের বাইরে যে আবরণ থাকে, যেটি জীবাণুর জেনেটিক কণাগুলোকে ঘিরে রাখে সেটাকে বলা হয় লিপিড মেমব্রেন। এই আবরণটা তৈলাক্ত ধরনের। শীতকালীন পরিবেশে সেটা অনেকক্ষণ টিকে থাকতে পারে।

এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী টিকা বাজারে আসেনি, তাই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাই একমাত্র উপায়।
Share:

ঢাকায় বাড়ছে পুরুষ যৌনকর্মী ।

বিক্রি হচ্ছে পুরুষত্ব কলগার্লের যখন রমরমা ব্যবসা তখন এ’সকর্টের খাতায় নাম লেখাতে ছেলেরাও পিছিয়ে নেই। বেশিরভাগ সময় এইসব ছেলেরা পুরুষত্ব বিক্রি করে কর্পোরেট বিজনেসম্যানদের স্ত্রীদের কাছে।কিংবা সেই সকল মহিলা যারা উদ্যম জীবন যাপনে অভ্যস্ত।

ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে এসকর্ট বিজনেস কিংবা কল গার্ল নামে যে কালচারটা গড়ে উঠেছে সেটার লিডিং পজিশনে আছে নামী দামি ভার্সিটির উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরা।
শুধু মেয়েরাই এই এসকর্ট বিজনেসে চালিয়ে যাচ্ছে এমনটা নয়; ছেলেরাও এখন নিজেদের পুরুষত্ব বিক্রি করছে চড়া দামে। সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসকর্ট বিজনেসের এই রমরমা ব্যাবসায় মেয়েরা আগে পেটের দায়ে আসলেও,
এখন আসে স্রেফ উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের জন্য।ঢাকার উত্তরায় এরকম কিছু ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানেস্বামী স্ত্রী” উভয়েই এসকর্ট বিজনেসের সাথে জড়িত। স্বামী বাইরের লোককে ডেকে এনে স্ত্রীর ঘরে পাঠায়।
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একেবারে বাসায় বসে নিরাপদে এরকম বিজনেস চালিয়ে আসছিল বেশ কিছু যুগল। যেহেতু হোটেল বিজনেসের মতো উদ্যম নয় অতএব মানুষের চোখের আড়ালে খুব সহজেই বিজনেস চালানো সহজ ছিল।
লক্ষ্যনীয় বিষয় এই যে, ভার্সিটির এই ছেলে মেয়েগুলোকে কখনোই আপনি ধরা পড়তে দেখবেন না। ধরা খায় রাস্তার ৩০০ টাকার মেয়েটা, কিংবান সস্তা পতিতালয়ের কোন সস্তা মেয়ে।অনলাইন এবং অফলাইন সব জায়গায় এই এক্সপেন্সিভ গ্রুপটা বেশ আধিপত্যের সাথে বিজনেস করে।

উচু লেভেলের কলগার্লের নামের তালিকা ঘাটলে অনেক মডেলকেও পাওয়া যাবে। ভার্সিটির মতো জায়গা থেকে যখন উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী মানুষ বের হওয়ার কথা, তখন সেখান থেকে বের হয় উচ্চ শিক্ষিত এসকর্ট (ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই)।এসকর্ট বিজনেসের সঙ্গে জড়িত এক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণী জানায়, একজন স্ত্রী তার স্বামীর কথায় আরেকজন পুরুষের সাথে

বিছানা শেয়ার করতে সানন্দে রাজি হয়ে যাচ্ছে।বিনিময়ে শরীর বিক্রি করে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপও আদায় করে নিচ্ছে অনেকে। এ পেশায় আধুনিক ছেলেরাও যোগ দিয়েছে। যে লক্ষণগুলো স্পষ্ট করে একজন নারী বিবাহিত জীবনে অসুখী অনেকগুলো স্বপ্নের জাল বুনে একজন নারী স্বামীর সংসার শুরু করেন। বলা যায় একটি নতুন জীবনের সূচনা। বিবাহিত জীবন খুব সুখে শান্তিতে কাটবে এমনটাই কমনা থাকে সবার তবে সব আশা সবার পুর্ন হয়না। তাই বিয়ের পরও দুঃখী থেকে যায় কিছু নারী।
আপনি যদি একজন বিবাহিত নারী হয়ে থাকনে এবং আপনার বিবাহিত জীবন যদি সুখকর না হয়ে থাকে তবে আজকের এই লেখা ধরে নিন আপনাকে উদ্দেশ্য করেই।আসলে একটা সময়ে গিয়ে আমরা জীবনে ঠিক বেঠিক বুঝে উঠতে পারিনা। আমরা কি আসলেই ভালো আছি কিনা তাও বুঝিনা। আজ আমরা আলোচনা এমন কিছু লক্ষণ নিয়ে যা স্পষ্ট করে যে একজন বিবাহিত নারী সুখে নেই।প্রথমেই বলা যাক ঘুমের কথা। উইমেনস হেলথ

একরোস দ্যা ন্যাশনের ডাক্তার ট্রক্সেল একটি বিশেষ গবেষণার পর এ কথা বলেন যে, সুখী বিবাহিত নারীরা অসুখী নারীদের তুলনায় শতকরা ১০ ভাগ গভীর এবং সুখকরভাবে নিদ্রা যাপন করে থাকেন। হতে পারে আপনার স্বামী শহরের বাইরে আছেন কিংবা আপনার আপনার সন্তানের অসুস্থ। যে কোন কারনেই হোক না কেন একজন বিবাহিত নারী সেই মুহূর্তে যথেষ্ট অসুখী যখন তার ঘুমের জায়গা টেনশন দখল করে নেয়।একজন অসুখী বিবাহিত নারীর দ্বিতীয় লক্ষণ হচ্ছে ক্লান্তি।

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালেফোর্নিয়ার একটি গবেষণায় এ কথা বলা হয় একজন সুখী বিবাহিত নারী সংসারের যে কোন ঝামেলা সামলে উঠেও ক্লান্ত হন না, বরং বেশ ভালোবেসেই কাজগুলো করেন।যেখানে একজন অসুখী নারী সাংসারিক জীবন নিয়ে যথেষ্ট ক্লান্তিভাব পোষণ করেন এবং নিজেকে পরিবর্তনও করতে নারাজ থাকেন।একজন বিবাহিত নারীর আবেগ, চাওয়া পাওয়া থাকে তার স্বামীকে ঘিরে। সেই স্বামী যখন অবহেলা করেন কিংবা স্ত্রীকে বুঝতে চেষ্টা করেন না তখন সে নারী হয়ে উঠেন একজন অসুখী নারী।

বর্তমান সমাজে দেখা যায় ঠিক এ কারনেই অনেক নারী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং নিজের ইচ্ছে বা চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে থাকেন।যেকোন সম্পর্কেই দূরত্ব জিনিসটা ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। না, এই দূরত্ব কোন বাহ্যিক দূরত্ব নয়। মনের দূরত্বের কথা বলছিলাম। অনেক বিবাহিত দম্পতির ক্ষেত্রেই দেখা যায় চার দেয়ালের মাঝে দিনের পর দিন থাকার পরও তারা একে অপরের চেয়ে বেশ দূরে। নিশ্চয়ই এটি একজন অসুখী

বিবাহিত নারীর খুব বড় একটি লক্ষণ। দূরত্বের কারন স্বামী হতে পারে আবার স্ত্রীও হতে পারে। হয়ত স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি সম্মান হারিয়ে ফেলে কিংবা স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেবিয়ে একটি বড় ধরণের সামাজিক সম্পর্ক।আর বিয়ে পরবর্তী সময়ে সুখী থাকতে চাওয়াটা যে কোন নারীরই কাম্য। তাই, উপরের লক্ষণ গুলোর একটিও যদি আপনার মনের জানালায় উঁকি দেয় আজই আপনার স্বামীর সাথে খোলাখুলি আলোচনা করে সব ঠিক করে নিন আর সুখী বিবাহিত জীবনযাপন করুন।
Share:

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ। আজ ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। পবিত্র মক্কার মরুপ্রান্তরে ১২ রবিউল আউয়াল মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।

আরব সমাজ যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ। সারা বিশ্বের মুসলমানরা আজকের এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তার আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন মহানবী (সা.)।

বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহŸান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এই বার্তা প্রচার করেন। ৬৩ বছর বয়সে তিনি মদিনা মোনওয়ারায় ইন্তেকাল করেন। আজ শুক্রবার দেশের বিভিন্ন মসজিদে মহানবী (সা.)এর জীবন ও কর্ম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা এবং মিলাদ মাহফিল ও জশনে জুলছ অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ইফার বোর্ড সদস্য আল্লামা শায়খ খন্দকার গোলাম মাওলা নকশবন্দিসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ মহানবী (সা.) এর কর্মময় জীবনীও ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন প্রখ্যাত ক্বারী আহমদ বিন ইউসুল আল আজহারী।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী : প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তা’আলা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) পবিত্র দিনে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয়নবী (সা.) কে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন, ‘রাহমাতুল্লিল আ’লামিন’ তথা সারা জাহানের জন্য রহমত হিসেবে। পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাতে জর্জরিত পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভ‚ত হয়েছিলেন। অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।

এদিকে, সিলেট নগরীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মুবারক র‌্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে র‌্যালিতে অংশ নেয়। র‌্যালিতে প্রিয়নবীর শানে রচিত কালজয়ী নানা কবিতার শ্লোক অঙ্কিত রঙবেরঙের ফেস্টুন ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে আশিকে রাসূল ছাত্র-জনতা নগরীর গুরুত্বপূণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব (রহ)’র ছাহেবজাদা বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র মুহতারাম সভাপতি আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।

কর্মসূচি:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব থেকে ১৫ দিনব্যাপী আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন শুরু করেছে। প্রতিদিন বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব পাশে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও পীর-মাশায়েখ মাহফিলে বয়ান করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় ৩০ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী মহানবী (সা.) এর জীবন ও কর্মের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া ইসলামি ক্যালিগ্রাফি ও মহানবী (সা.) এর জীবনভিত্তিক গ্রন্থ প্রদর্শনী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলা, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত ও হামদ-নাত মাহফিল, রাসুল (সা.)-এর শানে স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রকাশ করা হবে বিশেষ স্মরণিকা।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বদরপুর দরবার শরীফের উদ্যোগে ঢাকার সদরঘাট খানকায়ে উসমানিয়া রব্বানীয়া সুন্নীয়ায় ১২ দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৭টায় সদরঘাট মোড় থেকে নগরীতে জশনে জুলছ (আনন্দ র‌্যালি) বের করা হবে। জশনে জুলছে নেতৃত্ব দিবেন বদরপুর পীর সাহেব মুফতি শাহ সাইয়্যেদ মুতাসিম বিল্লাহ রব্বানী।

আজ বাদ আসর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে আওয়ামী লীগ। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে বিএনপি। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ শুক্রবার জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
Share:

Thursday, October 29, 2020

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তাভাবনা, নভেম্বরের মাঝামাঝি ।

করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ১৪ নভেম্বরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিতভাবে খোলার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানান তিনি।

তিনি বলেন, সবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে বিবেচনায় নিয়ে গত মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আমরা বাধ্য হয়েছি। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

তিনি আরো বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন জিনিস পর্যালোচনা করেছি, সীমিত পরিসরে কিছু জিনিস খোলা যায় কি না। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে দেখব পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করবো।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী শিক্ষা বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এট ভাবা হচ্ছে। গত ৮ মাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এই শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা যায় নি। এটি শেষ করতেই সীমিত পরিসরে খোলার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে করোনার যে পরিস্থিতি তাতে নির্দিষ্ট করে এখনো বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের সব প্রতিষ্ঠান সচল হয়েছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে না রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার চিন্তা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। সবার মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পাঠদান করানো হবে।

ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অংশ নেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা ছুটি বাড়ানোর পর ৩১ অক্টোবর ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ছুটি শেষ হওয়ার আগেই আবারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির সময় বাড়লো। এখন তা বাড়িয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত করা হলো।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এর আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়। গত ৭ অক্টোবর ঘোষণা দেওয়া হয় এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও হচ্ছে না। আর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে। এরপর মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষাও না নেওয়ার ঘোষণা আসে। পরীক্ষা ছাড়াই সব শিক্ষার্থী ওপরের ক্লাসে উঠবে।করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
Share:

Wednesday, October 28, 2020

ভারতে ট্রেন্ডিং ফ্রান্সের প্রতি সমর্থন, ফ্রান্স: ম্যাক্রঁ বন্দনায় বিজেপি নেতা ।

ফ্রান্সে সম্প্রতি ক্লাসরুমে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর সূত্রে একজন স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদের ঘটনার পর ইসলাম ধর্ম নিয়ে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বে যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ও ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে - তখন কিন্তু ভারতে তার সমর্থনে নানা হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করছে। 
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী- ফাইল ছবি
ফ্রান্সের প্রতি সংহতিসূচক #আইস্ট্যান্ডইউথফ্রান্স এবং #উইস্ট্যান্ডউইথফ্রান্স ভারতে গত বাহাত্তর ঘন্টা ধরেই 'টপ ট্রেন্ড'গুলোর মধ্যে উঠে এসেছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের এই দেশে হাজার হাজার ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্রান্সের ভূমিকাকে সমর্থন করছেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর 'বীরোচিত' নেতৃত্বকে তারিফ জানাচ্ছেন।

ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-র নেতা ও পশ্চিম দিল্লির এমপি পরভেশ সাহিব সিং টুইট করেছেন : "সহিষ্ণুতাও ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত। #আইস্ট্যান্ডইউথফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট, আপনি দারুণ কাজ করেছেন।"ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-র নেতা ও পশ্চিম দিল্লির এমপি পরভেশ সাহিব সিং টুইট করেছেন : "সহিষ্ণুতাও ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত। #আইস্ট্যান্ডইউথফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট, আপনি দারুণ কাজ করেছেন।"
Skip Twitter post, 1

End of Twitter post, 1প্রথম সারির জাতীয় নিউজ চ্যানেল টিভি-নাইনের সম্পাদক ও অ্যাঙ্কর প্রিয়াঙ্কা দেও জৈন টুইটারে লিখেছেন: "একজন খ্রিস্টান/হিন্দু/ইহুদী শিক্ষক যদি ক্লাসে মেরি/কৃষ্ণ/যীশুর কার্টুন দেখান ও তারপর একজন খ্রিস্টান/হিন্দু/ইহুদী তার শিরশ্ছেদ করে তাহলে অবশ্যই সেটা ওই ধর্মের উগ্র মৌলবাদ হিসেবে গণ্য হবে। ইসলাম কেন এর ব্যতিক্রম হবে?'ভারত কা রক্ষক'-সহ বিভিন্ন দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠী, যারা নিজেদের কট্টর দেশপ্রেমী বলে পরিচয় দেয়, তারাও এই বিতর্কে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ-র সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা পোস্ট করেছে।

ওয়েলডানম্যাক্রঁ কিংবা #ম্যাক্রঁদ্যহিরো-র মতো নতুন নতুন নানা হ্যাশট্যাগও ভারতে উঠে আসছে, অনেকে এখন আরও বেশি করে ফরাসি জিনিসপত্র কেনারও ডাক দিচ্ছেন।

আর এই সবই ঘটছে এমন একটা পটভূমিতে, যখন ভারতে গত ছবছর ধরে ক্ষমতায় থাকা নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বারে বারেই মুসলিম-বিরোধী নীতি অনুসরণ করার অভিযোগ উঠেছে। ফ্রান্স ও ইসলামকে কেন্দ্র করে এই চলমান বিতর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকার অবশ্য এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে শাসক দল বিজেপির নেতারা অনেকেই তাদের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন।গত ডিসেম্বরেই ভারত সরকার একটি বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন পাস করেছিল, যাতে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হলেও মুসলিমদের তা থেকে বঞ্চিত করা হয়।

সেই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সূত্র ধরে গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাও শুরু হয় - যাতে হতাহতদের বেশির ভাগই ছিলেন মুসলিম।

তার আগের কয়েক বছরেও ভারতের নানা প্রান্তে 'বিফ' বা গোমাংস বহন করার অভিযোগে বহু মুসলিমকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সেই সব ঘটনায় অপরাধীদের কারও শাস্তি হয়নি বললেই চলে।
দেশের ভেতরে এভাবে যখন একটা মুসলিম-বিরোধী বাতাবরণ ক্রমশ প্রশ্রয় পেয়েছে, তখন দেশের বাইরেও কিন্তু ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে।

২০১৬ সালে ভারত সরকার ৩৬টি অত্যাধুনিক রাফাল ফাইটার জেট কেনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে একটি বিতর্কিত প্রতিরক্ষা চুক্তিও করেছিল।

সেই যুদ্ধবিমানগুলোর প্রথম ব্যাচের পাঁচটি মাসকয়েক আগেই ভারতে এসে পৌঁছেছে, আর সেগুলো আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারতকে বিরাট সুবিধা এনে দেবে বলেই সামরিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন।

এই পটভূমিতে ভারত যে এখন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সমালোচনা করে কোনও পদক্ষেপ নেবে না, পর্যবেক্ষকরাও সে বিষয়ে একমত।

আর ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা যাচ্ছে তারই প্রতিফলন - যেখানে ফ্রান্সের সমর্থনে কার্যত ঝড় উঠেছে!
সংগৃহীত - শুভজ্যোতি ঘোষ
বিবিসি বাংলা, দিল্লি
Share:

এমপিপুত্র রাস্তায় নামলেই বেপরোয়া, ইরফান-শাবাব ‘শ্যালক-দুলাভাই’ ।

শ্যালক-দুলাভাই দুজনেরই আছে গাড়ির ‘রোগ’। দুজনেই এমপিপুত্র। রাস্তায় নামলে দুজনেই বেপরোয়া। মানুষ হত্যাসহ দুজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে বহু অভিযোগ। এদের একজন ‘দুলাভাই’ হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিম। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ খান ও তার স্ত্রীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ার পর উল্টো তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে এখন কারাগারে আছেন তিনি। অন্যদিকে ‘শ্যালক’ হলেন নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করীম চৌধুরীর ছেলে শাবাব চৌধুরী। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাবাব চৌধুরীর বড় বোন জারিন চৌধুরীর সঙ্গে ইরফান সেলিমের বিয়ে হয়।

শাবাব চৌধুরী এএন্ডজে গ্রুপ নামে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তার বাবা সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠানটি শিপিং ও স্টিভিডোরসহ বন্দরভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এর কার্যালয় আগ্রাবাদের বনানী কমপ্লেক্স ভবনে।

ইরফান সেলিমের শ্যালক শাবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রথম গুরুতর অভিযোগ আসে ২০১৮ সালের ১৯ জুন। ওইদিন শাবাবের চালানো প্রাইভেট কারটি এক ব্যক্তিকে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, বেপরোয়া গতিতে আসা গাড়িটি প্রথমে ফ্লাইওভারে এক পথচারী পায়ের ওপর তুলে দেয়। তিনি (পথচারী) ওই গাড়ির বাম্পার ধরে ফেলেন। গাড়িটি ব্যাক গিয়ারে এসে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। গতি বাড়িয়ে তিনি আবারও সামনের দিকে এগিয়ে যান। ওই পথচারী ছিটকে ফ্লাইওভারের গার্ডারে গিয়ে পড়েন। মুহূর্তেই মাথা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ওই পথচারীর। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নামমাত্র একটি মামলা হলেও নিহত ব্যক্তির হতদরিদ্র পরিবার নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ একরামুল হক চৌধুরীর অর্থবিত্তের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। সাংসদের পরিবারের পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয় নিহতের পরিবার।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ খান ও তার স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে এখন কারাগারে আছেন হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিম।
অল্পের জন্য বেঁচে যান পুলিশ সদস্যরা শাবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযোগটি ওঠে চলতি বছরের ১১ জুলাই। চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজারে এমপিপুত্র শাবাব তার দ্রুতগামী গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেন খোদ পুলিশের গাড়িকেই। এ ঘটনায় অল্পের জন্য কয়েকজন পুলিশ সদস্য প্রাণে রক্ষা পান। ওই দিন রাত নয়টার দিকে নগরীর লালখানবাজারে ঢোকার মুখে হাইওয়ে প্লাজার গলির সামনে আগে থেকে টহলে থাকা পুলিশের অপেক্ষমাণ একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় বিপরীত দিক থেকে দ্রুতবেগে আসা একটি বিলাসবহুল গাড়ি। গাড়িতে থাকা খুলশী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে ওই গাড়িটিকে আটকে ফেলেন। এ সময় শাবাব চৌধুরী নিজেকে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র পরিচয় দিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। উল্টো পুলিশকেই হুমকি দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।

লালখানবাজারে সংঘটিত ওইদিনের ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে আছে। ওই ঘটনার পর রাতেই শাবাব চৌধুরীকে খুলশী থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও ঢাকার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপে গভীর রাতে তিনি ছাড়া পান।

গাড়িচাপায় হত্যার বিনিময় ২০ লাখ টাকা, ২০১৮ সালের ১৯ জুন রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারের ওপরে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি প্রাইভেট কার এক ব্যক্তিকে চাপা দিয়ে দ্রুত বিজয় সরণির দিকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সেলিম ব্যাপারী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত ওই ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মহাখালী ডিওএইচএসের নাওয়ার প্রোপার্টিজের গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন।
শাবাব চৌধুরী - ফাইল ছবি 
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন শামীম আশরাফী ওই সময় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে তখন ওই প্রাইভেট কারটির পেছনে ছিলেন একজন মোটরসাইকেল আরোহী। দ্রুত পালানো গাড়িটিকে ওই মোটরসাইকেল আরোহী অনুসরণ করা শুরু করেন এবং চিৎকার করে আশপাশের সবার সহযোগিতা চান। এ সময় কয়েকজন বন্ধুসহ তিনিও (শামীম) একটি প্রাইভেট কারে ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেল আরোহীর চিৎকার শুনে তাদের প্রাইভেট কারটিও ঘাতক গাড়িটিকে অনুসরণ করে। তারা দেখতে পান গাড়িটি সংসদ ভবনের উল্টো পাশে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অবস্থিত ন্যাম ফ্ল্যাটের ভেতরে গিয়ে ঢোকে। ওই মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে তারাও ন্যাম ভবনের ভেতরে ঢোকেন।’

ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, ‘‘ন্যাম ভবনের ভেতরে ঘাতক গাড়িটি থেকে এক তরুণ নেমে বলে, ‘এটা আমার এলাকা, ‘কে কে আসবি আস।’ এ সময় ওই তরুণের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। তখন আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং তরুণটিকে শাবাব নাম ধরে ডাকতে থাকে। এ সময় এসব লোকজন ও দায়িত্বরত আনসার ও কেয়ারটেকাররা জানায়, শাবাব চৌধুরী নোয়াখালীর এমপি একরাম চৌধুরীর ছেলে। এরপর তাদের ন্যাম ভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়।’

শামীম আরও জানান, মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ঘাতক গাড়ি ও এর চালকের ছবি তোলেন এবং ভিডিও করেন। কিন্তু তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে সেসব ছবি ও ভিডিও ফোন থেকে মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয়।

ওই সময় মানিক মিয়া এভিনিউর ৫ নম্বর ন্যাম ভবনে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে ৪ ও ৫ নম্বর ভবনের মাঝখানে উত্তরপাশে দাঁড়িয়ে এমপি একরামুল করীম চৌধুরীর ছেলে ও তাদের একাধিক গাড়িচালক বহিরাগত কয়েকজনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করছিল। এ সময় আমি পানি আনতে গিয়েছিলাম। তখন দেখি তাদের গাড়িটা সামনে ভাঙা। আমি চালকের কাছে জানতে চাইলাম কী হয়েছে? কিন্তু কেউ কিছু প্রথমে বলল না। পরে আরেকবার জিজ্ঞাসা করার পর সে বলে বাসে দুর্ঘটনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বাইরের আরও কিছু লোকজন দেখলাম। একটা মোটরসাইকেল দেখলাম। মোটরসাইকেল থাকা ছেলেটাকে এমপির ছেলে ও গাড়ির চালক মিলে মারধর করে মোবাইল রেখে দিয়েছে। মোবাইল দিয়ে সে নাকি ভিডিও করছিল।’

পরে ঢাকার কাফরুল থানা পুলিশের তদন্তেও বের হয়ে আসে, ওই অডি জিপ গাড়িটি ছিল নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল হক চৌধুরীর। গাড়িটিতে সাংসদের স্টিকারও লাগানো ছিল। গাড়িটি একরামুল হক চৌধুরীর স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিউলির নামে নিবন্ধিত। তবে ঘটনার সময় সাংসদ কিংবা তার স্ত্রী গাড়িতে ছিলেন না। সেটি চালাচ্ছিলেন সংসদ সদস্য একরামুল হক চৌধুরীর ছেলে শাবাব চৌধুরী। মামলার এজাহারেও গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৭৬৫৫ উল্লেখ করা হয়।

তবে এই ঘটনায় কাফরুল থানার পুলিশ বাদী হয়ে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে (নম্বর ১৮) একটি মামলা দায়ের করে। এমনকি এই ঘটনায় গাড়িচালক ও গাড়িটিকেও আটক করা হয়নি। পুলিশ এই ঘটনায় এমপিপুত্র শাবাবকে রক্ষার জন্য সব চেষ্টাই করে গেছে।

নিহত গাড়িচালক সেলিম ব্যাপারীর হতদরিদ্র পরিবার নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ একরামুল হক চৌধুরীর অর্থবিত্তের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্যই হয়েছে। সাংসদের পরিবারের পক্ষ থেকে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাবে শেষপর্যন্ত রাজি হন নিহতের পরিবার। এছাড়া প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী।

ওই সময় নিহত সেলিম ব্যাপারীর বোনের স্বামী আবদুল আলিম বলেন, ‘মহাখালীর ডিওএইচএসে নাওয়ার প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেনের উপস্থিতিতে আপস বৈঠক হয়েছে। সেলিমের স্ত্রী চায়না ব্যাপারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এমপি সাহেব।’

শাবাব বললেন দুলাভাই ইরফান সেলিমের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাবাব চৌধুরী  বলেন, ‘উনি তো আমার আপন ভাই না। আর আইন আইনের গতিতে চলবে। এখানে আমার কিছু বলার নেই।’

ঢাকায় গাড়িচাপা দিয়ে এক চালককে হত্যা এবং টাকার বিনিময়ে আপসের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে শাবাব চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকায় আমার সাথে কোনো সমস্যা হয়নি। আমার সাথে সমস্যার প্রশ্নই আসে না।’
Share:

আজ থেকে সাকিবের শাস্তি শেষ হচ্ছে ।

গত এক বছর খেলা থেকে দূরে থাকলেও করোনাকালে সাকিব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানবতার সেবায়। নিলামে তুলেছেন নিজের বিশ্বকাপের ব্যাট। সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন গঠন করে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে খাবার বিতরণ ছাড়াও চিকিৎসকদের জন্য দিয়েছেন উন্নত মানের পিপিই-মাস্ক, সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠানকে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স।

গত এক বছরে তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩৬টি ম্যাচের বাইরে থাকার কথা ছিল সাকিবের। তবে মার্চের মাঝামাঝি করোনাভাইরাসের কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর বেশির ভাগ ম্যাচই হয়নি। বাংলাদেশ দলকেও তাই খুব বেশি ম্যাচে সাকিবের অভাব অনুভব করতে হয়নি। সাকিব নিষিদ্ধ থাকার সময়ে বাংলাদেশ দল খেলেছেই মাত্র ৪টি টেস্ট,৩টি ওয়ানডে ও ৭টি টি-টোয়েন্টি।

এ বছর অক্টোবর-নভেম্বরের শ্রীলঙ্কা সিরিজটি করোনার কারণে স্থগিত না হলে এই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দিয়েই সাকিবের ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কোয়ারেন্টিন জটিলতায় সিরিজটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এ বছর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হবে না তাঁর। সাকিবকে অপেক্ষায় থাকতে হবে জানুয়ারিতে হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজের জন্য।
ছবি সংগৃহীত
তবে সাকিব মাঠে নেমে যেতে পারেন আগামী মাসের মাঝামাঝি শুরু হতে যাওয়া বিসিবির পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়েই। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও সেখান থেকেই খোঁজ রাখছেন এই টুর্নামেন্টের। টুর্নামেন্টে খেলতে এ মাসের শেষে না হলেও আগামী মাসের শুরুতে সাকিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। নির্বাচকেরাও তাঁকে রেখেই গড়ছেন দল। কাল বিসিবির পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘বিসিবি চায় সাকিব যত দ্রুত সম্ভব খেলায় ফিরুক। এই মুহূর্তে আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই। তবে পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাকিব খেলবে।’

নিষেধাজ্ঞার এক বছর সাকিব বেশির ভাগ সময়ই পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন। গত মার্চে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে সেখানে চলে যান তিনি, ফেরেন গত ২ সেপ্টেম্বর। এই ফেরার উদ্দেশ্য ছিল শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া। পুরোনো কোচ নাজমুল আবেদীনের তত্ত্বাবধানে বিকেএসপিতে অনুশীলনও শুরু করেছিলেন। কিন্তু সিরিজটি স্থগিত হয়ে গেলে এ মাসের শুরুতে সাকিব আবারও ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে। এবার অবশ্য সেখানে গিয়েও চালিয়ে গেছেন অনুশীলন। জাতীয় দলের ফিজিওর সূচি মেনে ফিটনেস অনুশীলনের পাশাপাশি কোচদের দেখিয়ে দেওয়া ব্যাটিং-বোলিংয়ের কিছু ড্রিলও করেছেন।

সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আন্তর্জাতিক দুটি ম্যাচ ও আইপিএলের একটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা জানাননি আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ দুটি ছিল জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে। সে বছর আইপিএলের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচেও একই অপরাধ করেন সাকিব, ভাঙেন আইসিসির দুর্নীতি দমন আইনের ২.৪. ৪ ধারা। 

তিনবারই তাঁকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন দীপক আগারওয়াল নামের ভারতীয় এক বাজিকর। তাঁর সঙ্গে সাকিবের তিনবার যোগাযোগ হওয়ার প্রমাণ পায় আইসিসি। গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ও ২৭ আগস্ট দুই দফা তারা সাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সাকিব ভুল স্বীকার করলে ২৯ অক্টোবর আইসিসি তাঁকে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। এর মধ্যে দ্বিতীয় বছরটি ছিল স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। নিয়ম অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রথম বছরে আইসিসির আর কোনো আইন না ভাঙায় পরের এক বছরের শাস্তি থেকে সাকিব রেহাই পাবেন।
Share:

ফরাসি পণ্য বয়কট করুন, প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ।

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট তার দেশে ইসলাম অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশ অব্যাহত থাকবে বলে বক্তব্য দেয়ার পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে ম্যাকরনের উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। এরদোগান ম্যাকরনকে ‘মানসিক রোগী’ বলে আখ্যায়িত করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট সোমবারের বক্তব্যে তার আগের কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, “ফ্রান্সে ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমণ ও রাসূলের অবমাননা দেশটির সেই নেতার উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয়েছে যার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন।” এরদোগান আরো বলেন, “ইউরোপীয় দেশগুলোতে এখন মুসলমানদের সঙ্গে সেরকম আচরণ করা হচ্ছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইহুদিদের সঙ্গে করা হয়েছিল।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন মহানবী (সা.)-এর অবমাননা করে বক্তব্য দেয়ায় ফরাসি পণ্য বর্জন করতে তুরস্কের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি গতকাল (সোমবার) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে জনগণকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ফরাসি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার এবং এই দেশটির পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন।
ফরাসি পত্রিকা শারলি এবদো সম্প্রতি মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বনবী (সা.)-এর অবমাননাকর কার্টুনগুলো পুনর্মুদ্রণ করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন সব ধরনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও কূটনৈতিক রীতিনীতির মাথা খেয়ে ঘোষণা করেছেন, তার দেশে এ ধরনের কার্টুন প্রকাশ অব্যাহত থাকবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। ইরানসহ বহু মুসলিম দেশে ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে এবং ম্যাকরনকে তার ইসলাম-বিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে
Share:

Tuesday, October 27, 2020

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন রেখে চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন খসড়া।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ছুটি সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও শনিবার। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুধু শুক্রবার। এই ছুটি বাড়াতে প্রস্তাব করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। 

প্রস্তাবে বলা হয় ছুটি বাড়ালেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনও ক্ষতি হবে না। সাপ্তাহিক এই দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে এনসিটিবি। তবে দুই মন্ত্রণালয় চাইলে যেকোনও সময় এই ছুটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির বিধান রেখে চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন খসড়া ছুটির তালিকা। আগামী ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য তা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত তালিকাটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
 
মন্ত্রিসভা এ তালিকা অনুমোদন দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। এ ছুটির ভিত্তিতে অনুমোদিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী বছরের ক্লাস-ছুটি-পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

চলতি নিয়মে কেবল শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি বিদ্যমান। তবে নতুন নিয়মে দুই দিন থাকবে সাপ্তাহিক ছুটি। এ ছুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও কার্যকর হবে। এর আগে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি কারিকুলামের খসড়া গত বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। কারিকুলামের কাঠামোতে আমরা বলেছি, সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন থাকলে সমস্যা হবে না। নতুন এই কারিকুলাম চালু হবে ২০২২ সাল থেকে।’

বিদ্যমান সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে ১৮৫ দিন। কারণ অনেক শনিবারে সরকারি ছুটি থাকে প্রতিবছর।

এনসিটিবির সূত্রে জানা গেছে, দুইদিন ছুটি থাকলেও শিক্ষার্থীদের বাসার যে কাজ দেওয়া হয়, তাতে তার লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই এই প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল সপ্তাহে দুইদিন ছুটি চালু রেখেছে। এতে শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমে যাবে।
Share:

যেভাবে চলতেন ইরফান সেলিম, বাবা-শ্বশুর এমপি, শাশুড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ।

বাবা সংসদ সদস্য, শ্বশুরও সংসদ সদস্য, শাশুড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান, নিজে ওয়ার্ড কাউন্সিলর। যে কারণে তার দাপটই আলাদা। ক্ষমতা ও দাপটে বাবা হাজী সেলিমকেও ছাড়িয়েছেন এরফান সেলিম। যখন তখন মানুষের সাথে বেয়াদবি, মানুষকে অপমান অপদস্থ আর মারধর করা অনেক আগে থেকেই তার অভ্যাস। স্থানীয় সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। অপরের বাড়ি দখল আর চাঁদাবাজির অভিযোগ না থাকলেও ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে তার রয়েছে বিশাল নিয়ন্ত্রণ। বাইরে চলতে গেলে তার লাগে নিরাপত্তা রক্ষী, যাদের সবাই অস্ত্রধারী। এর মধ্যে বৈধ আর অবৈধ অস্ত্র দু’টিই রয়েছে।

বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে অনেকটা কোণঠাসা হাজী সেলিম একসময় প্রায়ই আলোচনার শীর্ষে উঠে আসতেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন, কী ক্ষমতার বাইরে তাকে নিয়ে আলোচনা হতোই। বলতে গেলে অনেক দিনই সেই আলোচনা ছিল না। গত রোববার সন্ধ্যায় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করে আবারো আলোচনায় উঠে এলো হাজী সেলিমের পরিবার। আলোচনায় না থাকলেও পরিবারটি যে একেবারেই নিশ্চুপ বসেছিল তেমনটি নয়। গতকাল সোমবার ২৬, দেবীদাসঘাট লেনের হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা সেই প্রমাণই পেলেন। বাসা থেকে উদ্ধার হলো অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, মদ-বিয়ার, ওয়াকিটকি এবং হ্যান্ডকাফ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আশপাশের সব কিছু মনিটরিং করতে হাজী সেলিমের বাসায় গড়ে তোলা হয়েছিল আধুনিক রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিসহ অত্যাধুনিক কন্ট্রোল রুম। এতে ছিল আধুনিক ভিপিএস (ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার), ৩৮টি ওয়াকিটকি এবং ড্রোনসহ বিভিন্ন ডিভাইস। রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তায় নিয়োজিত এলিট বাহিনীর কাছে যেসব সরঞ্জাম থাকে, সে রকম সরঞ্জাম পাওয়া গেছে ওই বাসায়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় এই কন্ট্রোল রুম ব্যবহার করা হতো বলে র্যাবের ধারণা। হাজী সেলিমের আট তলা ভবনের তিন ও চার তলা থেকে এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
ইরফান সেলিম - ছবি : সংগৃহীত
এরফান সেলিমের বাবা হাজী সেলিম একজন সংসদ সদস্য। তার শ্বশুর একরাম চৌধুরী নোয়াখালী সদরের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগেরও সেক্রেটারি। আর শাশুড়ি হলেন নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চেয়ারম্যান। উকিল শ্বশুরও আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। আর নিজে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এসব কারণে তার ক্ষমতাই আলাদা। ইতঃপূর্বেও অনেক মানুষকে তিনি মারধর করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তিনি একরাম চৌধুরীর মেজ মেয়ে তাসরিন জেরিন চৌধুরীর স্বামী। হাজী সেলিমেরও মেজ ছেলে তিনি।

গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি কাউন্সিলর পদে জেতেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হাজী সেলিমের ভাগ্নে হাজী মোহাম্মদ হাসান পিল্লু। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বলে জানা যায়। দৃশ্যত তিনি বাবা হাজী সেলিমের ব্যবসা দেখাশোনা করে আসছেন বলে জানা যায়। তবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে অনেকের সাথেই তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়।

Share:

Saturday, October 24, 2020

বাংলাদেশের সিনিয়র আইনজীবী রফিক-উল হক আর নেই ।

বাংলাদেশের সিনিয়র আইনজীবী রফিক-উল হক শনিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছির ৮৫ বছর।  আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আদ-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তাঁর মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রফিক-উল হক।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আদ দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কয়েকদিন আগে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

সিনিয়র এই আইনজীবী পেশাগত জীবনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ২০০৭ সালে, ওয়ান-ইলেভেন নামে পরিচিত রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কারাবন্দী আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

এছাড়া বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করেছিলেন তিনি, যে কারণে আদ দ্বীন হাসপাতাল সহ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। 
ব্যারিস্টার রফিকুল হক ফাইল ছবি।
২০০৭ সালের পর ফখরুদ্দিন আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা সহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধেই মামলা করে তৎকালীন সরকার।

সেসময় রফিকুল হক শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়ের স্বপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় না থাকার কারণেই দুই দলের নেত্রীর পক্ষে আইনজীবী হতে পেরেছিলেন তিনি।বাংলাদেশের বাস্তবতায় যে কোনো সিনিয়র আইনজীবীর কোনো না কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকে। যেই অল্প কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না, রফিকুল হক ছিলেন তাদের একজন।

রফিক-উল হক তার ব্যক্তিগত আয় থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে চিকিৎসার উন্নয়নের জন্য দান করেছেন। শাহদীন মালিক বলেন, প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী হিসেবে তার আয় ছিল অনেক। আর সেই হারেই তিনি দানও করতেন। আমাদের ধারণা, তিনি তার জীবনে কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ দান করে গেছেন। আর এই বিষয়ে তিনি খুব একটা কথাও বলতেন না।

আদ দ্বীন হাসপাতালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল তৈরির পেছনে তার বড় ভূমিকা রয়েছে। বারডেম হাসপাতালের একটি বিশেষ বিভাগ তৈরিতে বড় অঙ্কের অনুদান দেয়ার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে ঢাকার বাইরে কয়েকটি সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এছাড়া ঢাকার আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের জন্যও তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করেছেন।

সেসময়ের তত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি দুই জনেরই (শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া) আইনজীবী হয়েছিলেন, কারণ তাঁর রাজনৈতিক কোনো পরিচয় ছিল না। আর সেসময় রাজনৈতিক পরিচয় থাকা অনেক আইনজীবীই বিভিন্ন কারণে ঐ দুইজনকে আইনি সহায়তা দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। শাহদীন মালিক বলেন, একজন সিনিয়র আইনজীবীর একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি সমর্থন থাকলে অন্য রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিরা আইনি সমস্যা নিয়ে ঐ আইনজীবীর কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকে।

রফিক-উল হক সব ধরণের রাজনীতি থেকে নিজেকে আলাদা রাখার কারণেই সব দল ও মতবাদের মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল বলে মন্তব্য করেন শাহদীন মালিক। সুপ্রিম কোর্ট বা বার অ্যাসোসিয়েশনের রাজনীতির সাথেও তিনি কখনো জড়িত হননি, ইচ্ছাকৃতভাবে দূরে থেকেছেন। ফলে যে কোনো রাজনৈতিক দলের লোকই আইনি সমস্যা নিয়ে তার দ্বারস্থ হতে পারতেন। তিনি কখনোই যেহেতু কোনো দল করেননি, তাই সব রাজনৈতিক দলের লোকই তার কাছে যেত এবং তার ওপর ভরসা তরে পারতো।

রফিকুল ইসলাম তার পেশাগত জীবনে সব ধরণের রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে মন্তব্য করেন সিনিয়র আইনজীবী আমীর-উল ইসলাম। আমিরুল ইসলাম বলেন, এরশাদের সামরিক সরকারের আমলে অনেক মানুষের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক মামলা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করেও সেসময় ওরকম অনেক মামলা লড়েছেন রফিকুল হক।

রফিকুল হক ১৯৮৯-৯০ সালে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া যে কোনো মামলায় আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেওে সবসময় তিনি নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতেন বলে মন্তব্য করেন শাহদীন মালিক। তার বয়স ৮০ বছরের বেশি হওয়ার পরও আমরা দেখেছি যে, কোনো মামলায় তিনি ব্যাপক পড়ালেখা করে, প্রস্তুতি নিয়ে আসতেন। অভিজ্ঞ, সিনিয়র আইনজীবী হওয়ায় কোনো মামলার ক্ষেত্রে কম প্রস্তুতি নিয়ে আসতে দেখিনি তাকে।

সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে রফিক-উল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ পল্টনের বাসায় নেওয়া হয়। বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা দুইটার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে রফিক-উল হকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ বনানী কবরস্থানে নেওয়া হয়। বেলা তিনটার কিছু আগে   সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

রফিক–উল হকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শোকবাণীতে বলা হয়, রফিক-উল হক একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

শোক জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। 
রফিক-উল হকের স্ত্রী ফরিদা হক বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান। তাঁর ছেলে ফাহিম-উল হকও আইনজীবী।

রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালে। ১৯৬০ সালে তিনি আইন পেশায় আসেন। ১৯৯০ সালে তাঁকে অ্যাটর্নি জেনারেল করা হয়।
Share:

Friday, October 23, 2020

ভারতের বাতাস `নোংরা' : ট্রাম্প

ভারতের বাতাস `নোংরা'। কেবল ভারতই নয়, চীন কিংবা রাশিয়ার বাতাসেও একই রকমের দূষণ। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে এভাবেই এই তিন দেশের সমালোচনা করতে দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেনের সাথে মুখোমুখি বিতর্কের চূড়ান্ত পর্বে এমনই মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার ভারতে আসছেন দুই দেশের মধ্যে অংশীদারি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতে। এর মধ্যেই ভারত সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে বসলেন ট্রাম্প।
দ্বিতীয় ও শেষ বিতর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পছবি: এএফপি
এদিন ট্রাম্প বলেন, ‘চীনকে দেখুন। রাশিয়াকে দেখুন। দেখুন ভারতকে। বাতাস কী নোংরা! আমি প্যারিস চুক্তি থেকে সরে এসেছিলাম কারণ কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার বাঁচানোর দরকার ছিল। তাছাড়া আমাদের সাথে ভালো ব্যবহারও করা হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্যারিস চুক্তি রক্ষা করার জন্য লক্ষ লক্ষ চাকরি, হাজার হাজার সংস্থাকে ছাড়তে পারব না। এটা খুবই অন্যায় হবে।’

এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এই বিতর্কে ভারতের সমালোচনা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে বিডেনের সাথে প্রথম বিতর্কের সময় ভারতের করোনা পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনি যখন সংখ্যা নিয়ে কথা বলছেন, তখন জানাই, আপনি জানেন না চিনে কত মানুষ মারা গিয়েছেন, রাশিয়ায় কত মানুষ মারা গিয়েছেন। আপনি জানেন না, ভারতে কত জন মারা গিয়েছেন। এরা কেউই একদম সঠিক তথ্যটা দেয় না।’

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল টুইট করে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রীকে। ভারত সম্পর্কে ট্রাম্পের এই ধরনের মন্তব্যকে ‘বন্ধুত্বের ফল’ কিংবা ‘হাউডি মোদীর পরিণাম’ বলে কটাক্ষ করেন তিন‌ি।

জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে শুরু থেকেই ট্রাম্প বিতর্কিত অবস্থানে। তিনি ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রকে বহুল আলোচিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের করে আনেন। এ নিয়ে ট্রাম্প সমালোচিত।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারের দিল্লি সফরের আগে ভারতের বাতাসের মান নিয়ে ট্রাম্প মন্তব্য করলেন।

প্রথম বিতর্কের সময়ও ট্রাম্প ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। তখন তিনি ভারতের করোনার তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
Share:

আংশিক টাকা ফেরত পাবে, এইচএসসির শিক্ষার্থীরা ।

জিয়াউল হক জানান, পরীক্ষা কেন্দ্র ফি থেকে কিছু অংশ, ইনভিজিলেটর ফি, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি থেকে শিক্ষার্থীরা অর্থ ফেরত পাবে। এ সময়  তিনি বলেন, 'করোনার কারণে যেহেতু এবার এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শিক্ষার্থীদের কিছু টাকা ফেরত দেব। পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যেসব খাতে টাকা খরচ হয়নি, সেসব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।' তবে কত টাকা ফেরত দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও হিসাব হয়নি।’

পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অনেকেই ফরম পূরণের অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি তোলেন। এরপর খরচের অবশিষ্ট টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত ৭ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ পরীক্ষা বাতিল করা হলেও জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে।
ফাইল ফটো
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল হয়েছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা বাতিলের কারণে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের আংশিক টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। বুধবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Share:

Thursday, October 22, 2020

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়ছে ।

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়ছে ।এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অনলাইন, টেলিভিশিন, রেডিও পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। তাই নতুন করে আরও ছুটি বাড়াতে হবে। আগামী ২৯ অক্টোবর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। 
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এমন ধারণাই পাওয়া গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে, তবে কতদিন বাড়বে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দ্রুত এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে প্রাথমিকের সমাপনী, জেএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। 


Share:

মহেশখালীকে একটি মডেল থানা উপহার দেওয়ার ঘোষণা ।

ফাইল ছবি
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গত ১৬/১০/২০২০ইং গোরাকঘাটা জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর বক্তব্য রাখেন । ।

তিনি বলেছেন কোন দালালের কাছে না যেতে,আর থানায় কোন পুলিশ বা কাউকে এক টাকাও না দিতে ।তিনি আরো বলেন আমি জনগণের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে চাই। এমন কি তিনি মহেশখালীকে একটি মডেল থানা উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি কুরআনের বিভিন্ন আয়াত তুলে ধরেন,সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার আহবান জানান, কোন মামলা বা জিডি করতে একটা টাকাও দিতে হবে না বলে ঘোষণা দেন।আর মিথ্যা মামলা নিয়ে না যাওয়ার জন্য কঠোর হুশিয়ারী দেন।

সংগৃহীত (𝗗𝘄𝗶𝗽 𝗡𝗲𝘄𝘀 24) 
Share:

অনলাইনে মোটরযানের নিবন্ধন সংক্রান্ত বিআরটিএ'র বিজ্ঞপ্তি।

 

নতুন বাইক কিনে আমরা অনেকেই শোরুমে বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য টাকা জমা দিয়ে থাকি। কিন্তু অধিকাংশ সময় দেখা যায় শোরুমগুলো আমাদের কাছ থেকে নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি এর চাইতে অনেক বেশি টাকা নিয়ে থাকে। কিন্তু এমনটা করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। Bangladesh Road Transport Authority (BRTA) থেকে এই সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু রুলস জারি করা হয়েছে।

বি আর টি এ থেকে জানানো হয়েছে মোটরযান নিবন্ধনকালে মোটরযানের ধরন অনুযায়ী প্রযোজ্য কর , ফি , নাম্বার প্লেট ইত্যাদির ফিসের তালিকা বা চার্ট বিক্রয়কারী অথবা ডিলারকে তার শোরুমের দৃশ্যমান কোন স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া শোরুম বাইকারদের থেকে অতিরিক্ত কোন ফি গ্রহন করতে পারবে না।
Share:

কথা বলুন ৩০ পয়সায় যেকোন নম্বরে ।

আইপি কলে যে কল দেবেন তার ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই হবে। যাকে কল দেয়া হচ্ছে তার ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা অ্যাপ না থাকলেও চলবে। এবং প্রতি মিনিট কথা বলতে পারবেন মাত্র ৩০ পয়সায়। 
এবারও মোবাইল ফোনের কলরেটের দাম বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই কথা বলার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। কিন্ত সবার তো ইন্টারনেট কানেকশন সবসময় থাকে না। এই সমস্যার সমাধান দেবে আইপি কল। 

প্রতি সেকেন্ডে পালস রয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন দেশে ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিফোন সার্ভিস প্রোভাইডার্স (আইপিটিএসপি) কোম্পানিগুলোকে অ্যাপের মাধ্যমে ভয়েস সেবার অনুমোদন দিয়েছে। মোবাইল ফোন অপাটেরগুলোর দৌরাত্মের কারণে আইপি টেলিফোন সেবা অতটা জনপ্রিয়তা পায়নি।

এছাড়া বাজারে আইপি টেলিফোন সেট পাওয়া যাচ্ছে। এসব সেটের দাম ১৫০০ টাকা থেকে শুরু। এই ফোনে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে সাধারণ টেলিফোনের মতোই কম খরচে কথা বলা যাচ্ছে। আইপি ফোন থেকে আইপি ফোনে কল করলে কোনো খরচ হয় না।

কিন্তু দিন দিন এর গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছেই। দেশে আইপি টেলিফোন সেবায় এগিয়ে আছে আম্বার আইটি, এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক অ্যাপ, যা সহজে গুগল প্লে স্টোর থাকে ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে। জানা গেছে, গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে বিনামূল্যে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করলে ১০ টাকার ফ্রি টক টাইম দেয়া হবে। আম্বার আইটির আইপি ফোনে রিচার্জ করাও সহজ। 

মোবাইল ব্যাংকিং ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যাংকি এবং নেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে রিচার্জ করা যায়। রিচার্জকৃত ব্যালেন্সের মেয়াদও অফুরন্ত। ফলে সাশ্রয়ী দাম কথা বলা যাচ্ছে। এই ছাড়াও গুগল প্লে স্টোরে ব্রিলিয়ান্ট কানেক্ট অ্যাপসহ আরও অনেক নামে অ্যাপ পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলো মাধ্যমে কম খরচে কথা বলা যাবে যেকোন মোবাইল নম্বরে।  
Share:

Wednesday, October 21, 2020

এবার বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসায় ।

করোনার প্রভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।

করোনার কারণে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, ইবতেদায়ি সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসায় এবার বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল ব্রিফিং এ কথা জানান তিনি।
ফাইল ফটো শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
মন্ত্রী বলেন, কোনো পরীক্ষা নয়, এবারের যে পরিস্থিতি কোনো পরীক্ষা নয়। এবার কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এই মূল্যায়ন তার পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলছে না। শুধুমাত্র আমাদের বোঝার জন্য শিক্ষার্থীদের কোন কোন জায়গায় দুর্বলতা আছে তা পরের ক্লাসে অ্যাড্রেস করব এবং তা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারব সেই কাজের জন্য এই মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রণিত সিলেবাসের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া সিলেবাসটি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এর বাইরে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের বাসার কাজ দেয়া যাবে না। চার সপ্তাহে শুধু চারটি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীরা পৌঁছে দেবে।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
Share:

Tuesday, October 20, 2020

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রাথমিক শিক্ষকে ।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে অনির্দিষ্ট সংখ্যক জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা বাদে দেশের বাকি সব জেলার প্রার্থীরা এতে আবেদন করতে পারবেন।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর হিসেব করা হয়েছে গত ২৫ মার্চ।

অর্থাৎ ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স ৩০ বছর তারা এই চাকরির পরীক্ষার বসায় আবেদন করতে পারবেন। তবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীর সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ২১ বছর। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স ধরা হয়েছে গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৩২ বছর।

এতদিন এইচএসসি পাসের সনদ থাকা নারীরা প্রাথমিকের শিক্ষক হতে আবেদন করতে পারলেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নারী-পুরুষ উভয় প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ধরা হয়েছে স্নাতক।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী প্রার্থীদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করে গত বছরের এপ্রিলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আগামী ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন অনলাইনে নেওয়া শুরু হবে। ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ১১০ টাকা ফি জমা দিয়ে এই আবেদন করা যাবে। http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
Share:

Sunday, October 18, 2020

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ।

 করোনা পরিস্থিতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষাগুলো অনলাইন মাধ্যমে নেয়া হবে। এ জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে অফলাইনেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে।

শনিবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক বৈঠক শেষে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সভাপতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম। ভার্চুয়াল এই সভায় দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অংশগ্রহণ করেন।
ফাইল ছবি
সভা সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে গত সাত মাস ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এতে নতুন করে সেশনজট তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই সংকট থেকে রক্ষা পেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হলেও সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, বর্তমানে স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নিতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোনাজ আহমেদ নূরের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই পরীক্ষা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে অধ্যাপক মোনাজ আহমেদ নূর জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এটির নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রক্টর রিমোট এক্সাম সিস্টেম (প্রোকয়াস)’। এটি ব্যবহার করে ভর্তি পরীক্ষা ও অভ্যন্তরীণ একাডেমিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হবে। সেটি মোবাইল বা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে অফ অথবা অনলাইনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষা শুরুর আগে অটোমেটিক পরীক্ষার্থীর অবস্থান ভিডিও, অডিও এবং স্টিল ছবি উঠে যাবে। সকল কিছু রেকর্ড ধারণ হয়ে থাকবে বলে কোনো ধরনের অসাধুপন্থা অবলম্বন করা সম্ভব হবে না। যদি কেউ তা করার চেষ্টা করে তবে ভিডিও ও অডিও ধারণের মাধ্যমে তা ধরা পড়বে। এ ধরনের প্রমাণ মিললে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে।

মোনাজ আহমেদ বলেন, সম্পূর্ণ দেশীও প্রচেষ্টায় সফটওয়্যার এবং অ্যাপস তৈরি করা হবে। এতে খুব বেশি ব্যয় হবে না। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি বিনামূল্যে দেয়া হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও এর মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে পারবে। এর মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা এবং শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়াও সম্ভব। এটি তৈরিতে যা ব্যয় হবে তা ইউজিসির কাছে চাওয়া হবে।

জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় সকল সিদ্ধান্ত ইউজিসির সঙ্গে সভা করে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে তা নিয়ে আবারও ভিসিরা বৈঠক করে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
Share:

Saturday, October 17, 2020

সেরার তালিকায় এ বছর হাজারেও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।

২০২১ সালের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা করেছে টাইমস হায়ার এডুকেশন। তালিকায় এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০০১ নম্বরে।সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য ২০২১ সালের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো। 

টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বের ৯৩টি দেশের ১৫শ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করেছে ভালো থেকে খারাপের সূচিতে। চারটি মানদণ্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্যায়ন করে তৈরি করা হয়েছে এই তালিকা। সেগুলো হল: শিক্ষা প্রদান, গবেষণা, জ্ঞানবিতরণ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড৷

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় : যুক্তরাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি টানা পাঁচ বছর ধরে শীর্ষস্থানে রয়েছে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় : গত বছর চার নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এবার তালিকার দুই নম্বরে স্থান করে নিয়েছে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় : যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি গতবার ছিল সাত নম্বরে৷ এবার তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে এটি।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি : বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটিই যুক্তরাষ্ট্রে৷ ক্যালিফোর্নিয়ার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি : প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এমআইটি বেশ বিখ্যাত৷ এবারের সূচিতে এর অবস্থান পাঁচ নম্বরে।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় : যুক্তরাজ্যের এই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়টি গতবারের তালিকায় ছিল তিন নম্বরে৷ এবার এটির অবস্থান ছয় নম্বরে।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে : গতবার শীর্ষ দশে জায়গায় পায়নি অ্যামেরিকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি৷ আর এ বছর সাত নম্বর অবস্থানে পৌঁছে গেছে এটি।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় : গতবারের অবস্থানেই আছে ইয়েল ইউনিভার্সিটি।

প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় : গতবার ছয় নম্বরে থাকা প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি এবার নেমে গেছে নয় নম্বরে।

ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো : তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও অবনতি হয়েছে৷। গতবার নয় নম্বরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টি এবার আছে ১০ নম্বরে। 

বিশ্বসেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কিউএস এ তালিকা প্রকাশ করে? 

বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংস ২০২১’ শীর্ষক বিশ্বসেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ তালিকা প্রকাশ করে কিউএস। কিউএসের প্রকাশিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য র‌্যাংকিংগুলোর একটি মনে করা হয়।এবারের এ তালিকায় ঢাবি ও বুয়েটের অবস্থান ৮০১-১০০০তমের মধ্যে। এর অর্থ হল- এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকার শেষ ২০০তে অবস্থান করছে। মূলত, তালিকার ৫০০তমের পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয় না এ র‌্যাংকিংয়ে। তবে কিউএসের প্রকাশিত নতুন এ র‌্যাংকিংয়ে ভারতের ৮টি ও পাকিস্তানের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে বিশ্বসেরা ৫০০-এর মধ্যে। সার্কভুক্ত অন্য ৫টি দেশ থেকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ তালিকায় স্থান পায়নি।

এদিকে ২০১২ সালে এ র‌্যাংকিংয়ে ঢাবি ছিল ৬০১+ অবস্থানে। ২০১৪ সালে আগের অবস্থান থেকে ৭০১+ অবস্থানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেমে আসে ঢাবির অবস্থান। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ অবস্থান ধরে রেখেছিল ঢাবি। কিন্তু ২০২০ সালের তালিকায় আরও ১০০ ধাপ অবনমন ঘটে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির। 

কিউএসের এ র‌্যাংকিংয়ে ১০০-তে ১০০ স্কোর নিয়ে টানা নবমবারের মতো তালিকায় প্রথম হয়েছে মেসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), ৯৭ দশমিক ৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ৯৬ দশমিক ৭ স্কোর নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম আর ৯৪ দশমিক ৩ স্কোর নিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সপ্তম অবস্থানে। তালিকায় থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের স্কোর প্রকাশ করেনি কিউএস।

তবে, কিউএসের এ তালিকা অনুযায়ী ২০২০ সালে এশিয়ায় ঢাবির অবস্থান ১৩৫তম। যদিও ২০১৯ সালে এশিয়ায় ঢাবির অবস্থান ছিল ১২৭তম। অন্যদিকে ২০২০ সালে এশিয়ায় বুয়েটের অবস্থান ২০৭তম যা ২০১৯ সালে ছিল ১৭৫তম। 

কিউএসের এ র‌্যাংকিংয়ে ছয়টি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়। এগুলো হল একাডেমিক খ্যাতি, চাকরির বাজারে সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত। ছয়টি সূচকের মোট স্কোর ১০০। এর মধ্যে একাডেমিক সুনামে ৪০, চাকরির বাজারে সুনামে ১০, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ২০, শিক্ষকদের গবেষণার উদ্ধৃতিতে ২০ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতে ৫ করে স্কোর থাকে।

গত সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ র‌্যাংকিংয়ে এশিয়ার সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেশের একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং (সিডব্লিউইউআর) পরিচালিত সেরা ২ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও স্থান পায় একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে
Share:

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসছে ।

                                                     (ফাইল ছবি)
আগামী ফেব্রুয়া‌রির মধ্যে বাংলাদেশে ৩ কোটি অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান। শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

এসময় তিনি আরো বলেন, এই টিকার কয়েকশ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও সরকারের রয়েছে।

এর আগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের শেষ দিনে সদর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান।

Share:

Blog Archive

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner