শীতকালে করোনা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। আসতে পারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউও। তাই শীতে করোনা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বয়স্ক ও নানা জটিল রোগে আক্রান্তদের নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
শীত আসলেই বেড়ে যায় সর্দি-কাশি, হাঁপানি, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণসহ নানা ধরনের রোগ। বাড়ে হাঁপানি বা ব্রংকাইটিস রোগীদের শ্বাসকষ্ট। শীতে বয়স্ক ব্যক্তিদের নানা জটিলতা দেখা দেয়। তাই করোনাকালে তাদের বিশেষ যত্ন না নিলে বাড়তে পারে মৃত্যু ঝুঁকি।
![]() |
শীতকাল ( ফাইল ছবি) |
শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম কাজ করে। তাই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে খাদ্যগ্রহণ ও জীবনযাপনে বাড়তি যত্নের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শীতে দরজা-জানালা বন্ধ না রেখে আলো-বাতাস ঠিকমত চলাচল করলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে আসছে শীতে করোনাভাইরাস মহামারি আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে শীতের আগে থেকেই উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে।
এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় হাঁচি, কাশি দেয়া হলে বাতাসে জীবাণুর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলো অনেকক্ষণ ধরে ভেসে থাকে। গরমের সময় সেটা যখন দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু শীতের সময় অনেকক্ষণ ধরে বাতাসে থাকে। ফলে মানুষের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।
করোনাভাইরাসের জীবাণুর ক্ষেত্রে যে নিউক্লিয় এনভেলাপ থাকে, অর্থাৎ ভাইরাসের বাইরে যে আবরণ থাকে, যেটি জীবাণুর জেনেটিক কণাগুলোকে ঘিরে রাখে সেটাকে বলা হয় লিপিড মেমব্রেন। এই আবরণটা তৈলাক্ত ধরনের। শীতকালীন পরিবেশে সেটা অনেকক্ষণ টিকে থাকতে পারে।
এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী টিকা বাজারে আসেনি, তাই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাই একমাত্র উপায়।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box