২০০৯ সালের মার্চ মাসের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করেছে, সেপ্টেম্বরে দেশের কোথাও ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি। অর্থাৎ সাড়ে ১১ বছর পর ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মুক্ত মাস পেল বাংলাদেশ । আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোই বলছে, বন্দুকযুদ্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছ, এমন খবর তাদের কাছে নেই।
![]() |
ফাইল ফটো - সাড়ে ১১ বছর পর গত সেপ্টেম্বরে দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘ক্রসফায়ারের’ ঘটনা ঘটেনি। |
গেল সেপ্টেম্বরে প্রায় সাড়ে এগারো বছর পরে ক্রসফায়ার শূন্য একটি মাস পার করলো বাংলাদেশ। আগস্টেও এই সংখ্যা মাত্র এক। অথচ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই - এই সাত মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ১৮৪ জন। সমাজ ও অপরাধ গবেষকরা বলছেন এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এড়িয়ে চাইলেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ২০০২ সালের শুরুতে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। এরপর ২০০৪ সালে থেকে র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের একের পর এক ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে ২০০১ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৩ হাজার ৪৪ জন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বাড়ে।
গবেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় প্রমাণ হয় সরকার চাইলেই এধরনের বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড রুখে দেয়া সম্ভব সমাজ ও অপরাধ গবেষক তৌহিদুল হক বলেন, ক্রসফায়ার কোন সমাধান না। ক্রসফায়ারের নামে সবার বিরুদ্ধে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box