করোনা পরিস্থিতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষাগুলো অনলাইন মাধ্যমে নেয়া হবে। এ জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে অফলাইনেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে।
শনিবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক বৈঠক শেষে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সভাপতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম। ভার্চুয়াল এই সভায় দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অংশগ্রহণ করেন।
 |
ফাইল ছবি
সভা সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে গত সাত মাস ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এতে নতুন করে সেশনজট তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই সংকট থেকে রক্ষা পেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হলেও সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জানা গেছে, বর্তমানে স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নিতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোনাজ আহমেদ নূরের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই পরীক্ষা নেয়া হবে।
জানতে চাইলে অধ্যাপক মোনাজ আহমেদ নূর জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এটির নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রক্টর রিমোট এক্সাম সিস্টেম (প্রোকয়াস)’। এটি ব্যবহার করে ভর্তি পরীক্ষা ও অভ্যন্তরীণ একাডেমিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হবে। সেটি মোবাইল বা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে অফ অথবা অনলাইনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষা শুরুর আগে অটোমেটিক পরীক্ষার্থীর অবস্থান ভিডিও, অডিও এবং স্টিল ছবি উঠে যাবে। সকল কিছু রেকর্ড ধারণ হয়ে থাকবে বলে কোনো ধরনের অসাধুপন্থা অবলম্বন করা সম্ভব হবে না। যদি কেউ তা করার চেষ্টা করে তবে ভিডিও ও অডিও ধারণের মাধ্যমে তা ধরা পড়বে। এ ধরনের প্রমাণ মিললে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
মোনাজ আহমেদ বলেন, সম্পূর্ণ দেশীও প্রচেষ্টায় সফটওয়্যার এবং অ্যাপস তৈরি করা হবে। এতে খুব বেশি ব্যয় হবে না। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি বিনামূল্যে দেয়া হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও এর মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে পারবে। এর মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা এবং শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়াও সম্ভব। এটি তৈরিতে যা ব্যয় হবে তা ইউজিসির কাছে চাওয়া হবে।
জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় সকল সিদ্ধান্ত ইউজিসির সঙ্গে সভা করে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে তা নিয়ে আবারও ভিসিরা বৈঠক করে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। |
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box