Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Thursday, June 4, 2020

শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হবে চলতি মাসেই পোশাক

করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই ভোক্তার চাহিদা কমে যাচ্ছে। সেইসাথে পোশাক কারখানার কাজও কমেছে ৫৫ শতাংশ। এমন অবস্থায় জুন থেকেই শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য দেশের প্রথম স্টেট অব দ্য আর্ট কভিড-১৯ ল্যাব উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন (এমপি), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী (এমপি), ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বাডাস)-এর সভাপতি প্রফেসর ডাক্তার এ কে আজাদ খান।
              রুবানা হক - ছবি : সংগৃহীত


বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই পর্যন্ত ২৬৪ জন পোশাক শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এসব শ্রমিকদের সব ধরনের চিকিৎসার খরচ বহন করছেন উদ্যোক্তারা।
শ্রমিক ছাঁটাই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবতা উল্লেখ করে রুবানা হক বলেন, ‘কিন্তু করার কিছু নেই। কারণ, শতকরা ৫৫ শতাংশ ক্যাপাসিটিতে ফ্যাক্টরি চলছে।’ আমাদের ছাঁটাই ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে এ অবস্থা বদলেও যেতে পারে। তখন ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকরাই কাজে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘জুলাইতে কী হবে বলা যাচ্ছে না। সেই সময় আমাদের আরো বড় ধাক্কা খেতে হবে। এটি অপ্রত্যাশিত কিছু নয়।’
তিনি বলেন, ‘করোনার এই সময়ে প্রায় ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ শতাংশ ফেরত এসেছে। তবে যারা ফেরত এসেছেন তারা আবার বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছেন।’
বিশ্বে ভোক্তার চাহিদা কমে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীতে ৬৫ শতাংশ চাহিদা কমে যাবে।’ তাই পোশাকের চাহিদা বাড়ার তেমন সম্ভাবনা কম বলেও জানান তিনি। অর্থাৎ দেশের পোশাক কারখানাও ৫৫ শতাংশ কমে যাবে। এক সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় এখন মানুষ সুস্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। ফলে শতকরা ৬৫ শতাংশ অর্ডার কমে যাচ্ছে। চীন থেকে ৫৫ ভাগ বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে দুই শতাংশ কমিয়েছে।’
রুবানা হক বলেন, ‘৪২ হাজার কোটি টাকা মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ক্ষতি হবে। করোনায় দেশের ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানার ৫৫ শতাংশ ক্যাপাসিটি দিয়ে চালাতে হবে। জুনে কারখানাগুলোতে ৩০ শতাংশ কাজ হবে।’ তবে যাই ঘটুক, চলতি অর্থবছরে পোশাক খাতে রফতানি আয় ২৩ বিলিয়ন ডলার হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
Share:

0 comments:

Post a Comment

Please do not enter any link in the comment Box

Blog Archive

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner