Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Saturday, June 6, 2020

জেনেনিন করোনা ঝুঁকিতে রক্তের যে যে গ্রুপ

করোনাভাইরাসের কাঁপছে বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণা বলছে, যারা এ গ্রুপের (দ্বিতীয় রক্তের ধরন) রক্ত বহন করছেন তারা করোনা আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি আশঙ্কায় রয়েছেন। আবার যারা ও গ্রুপের রক্ত বহন করছেন তারা কম শঙ্কায় রয়েছেন।

সারা বিশ্ব কাঁপছে করোনাভাইরাসে। এই মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান। এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণা বলছে, যারা এ গ্রুপের (দ্বিতীয় রক্তের ধরন) রক্ত বহন করছেন তারা করোনা আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি আশঙ্কায় রয়েছেন। আবার যারা ও গ্রুপের (প্রথম রক্তের ধরন) রক্ত বহন করছেন তারা কম শঙ্কায় রয়েছেন।

চীনের এক দল বিজ্ঞানীর করা এক গবষেণাপত্রে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে মেডরেক্সিভ ওয়েবসাইটে। বিজ্ঞানীরা উহান ও শেনজেন হাসপাতালের দুই হাজার দু’শ রোগীর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করেছেন।

বিজ্ঞানীদের মতে, উহানের নাগরিকদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ ও গ্রুপের (প্রথম রক্তের ধরন) রক্ত বহন করছেন, ৩২ শতাংশ বহন করছেন এ গ্রুপের (দ্বিতীয় রক্তের ধরন) রক্ত। আর ২৫ শতাংশ বি গ্রুপের (তৃতীয় রক্তের ধরন) বহন করছেন এবং ৯ শতাংশ বহন করছেন এবি গ্রুপ (চতুর্থ রক্তের ধরন)। এই তথ্য পেতে বিজ্ঞানীরা উহানের তিন হাজার সাতশ সুস্থ নাগরিকের রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।

বিজ্ঞানীরা এই সময়ে আবার করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়েও গবেষণা করেছেন। তারা দেখতে পান উহানে করোনা আক্রান্ত রোগীর ৩৮ শতাংশই এ গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। আর অন্যদিকে, ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী বি গ্রুপের এবং ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী ও গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। সবচেয়ে কম রোগী (১০ শতাংশ) এবি গ্রুপের রক্ত বহন করছেন।

ওই তথ্যগুলো পাওয়ার পর আবারো শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তারপর তিনশ ৮৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্ত নিয়ে চলে গবেষণা। তখনো তারা দেখতে পান করোনা আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি রোগীই এ গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। আর তুলনামূলক কম ব্যক্তি বহন করছেন ও গ্রুপের রক্ত। নতুন তথ্য তাদের এই তত্ত্বকে প্রমাণ করেছে। তাই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে এ গ্রুপের রক্তের বাহকরা সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে।

গত বছরের শেষের দিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে চীনের উহানে। কিন্তু সেখানেই আটকে থাকেনি এই মারণ ভাইরাস। ১৩০ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। সারা বিশ্বের প্রায় সাত হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

সূত্র: টাস।

Share:

0 comments:

Post a Comment

Please do not enter any link in the comment Box

Blog Archive

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner