বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না বাংলাদেশের গায়ক মঈনুল আহসান নোবেলের (Mainul Ahsan Noble)। কখনও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আবার কখনও বিয়ে নিয়ে পোস্ট করে আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিলেন তিনি। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠল ভারতীয় সংগীত পরিচালকের গান চুরির অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় গান ‘চুরি’র কথা শেয়ার করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সংগীত পরিচালক সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
১৫ জুন নোবেলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ‘বাংলা মিলবে কবে’ নামে একটি গান আপলোড করা হয়। গানের গীতিকার ও সুরকার সৈকত চট্টোপাধ্যায়। ভারতীয় সংগীত পরিচালকের অভিযোগ, তাঁর বারণ অগ্রাহ্য করে কোনও লিখিত চুক্তি ছাড়াই গানটি ইউটিউবে আপলোড করেছেন নোবেল। এই ঘটনা চুরির সমান বলেই অভিযোগ ভারতীয় সংগীত পরিচালকের।তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “নোবেল ম্যানের নোবেল চুরি। স্রষ্টার সার্বিক অনুমতি ছাড়াই একজন শিল্পী স্রষ্টার গান কীভাবে প্রকাশ করতে পারে? হতে পারে প্রাথমিক স্তরে কথা হয়েছিল তাঁর গানটা গাওয়া নিয়ে, যেরকম অনেকের সঙ্গে হয়ে থাকে। না হয় সে কিঞ্চিত অগ্রিমও দিয়েছে। কিন্তু ফাইনালি আমার অফিসিয়ালি বারণ শর্তেও আমার অনুমতি ছাড়াই আমার গান প্রকাশ করা হল। বিনা অনুমতিতে পরের জিনিস নিজের বানিয়ে নেওয়াকে কি বলে যেন? আর গানটার কি দশাই না বানিয়েছে? বিতর্কিত পোস্টের জন্য একেই নোবেলকে ‘বেয়াদপ’ আখ্যা দিয়েছেন নেটিজেনরা। তার উপর আবার ভারতীয় সংগীত পরিচালকের গান চুরির অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে আরও ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা। নোবেলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। তবে এই প্রথমবার নয় এর আগেও বিখ্যাত বাংলাদেশি গায়কের গান চুরির অভিযোগ ওঠে নোবেলের বিরুদ্ধে।সাধারণত বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক কপিরাইট আইনে গানের মূল স্বত্ব গীতিকার ও সুরকারের। প্রচলিত কপিরাইট আইনে সুরকার ও গীতিকারের অনুমতি ছাড়া কোনও গান প্রকাশ করলে তা কপিরাইট আইনের ৭১ ধারার লঙ্ঘন মর্মে ৮২ ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়। এই কাজের জন্য নোবেলের উপরে শাস্তির খাঁড়া নেমে আসে কিনা, সেদিকে তাকিয়ে সমালোচকরা।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box