Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Monday, August 10, 2020

আচমকা সরে গেল আইপিএলের মূল স্পনসর

 

সংগৃহীত
আইপিএলের মূল স্পনসর ভিভোর আচমকা সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বড় ধাক্কা। চুক্তি অনুযায়ী চীনের মোবাইল প্রস্তুতারী সংস্থাটি প্রত্যেক মরশুমে বিসিসিআইকে ৪৪০ কোটি টাকা করে দিয়ে এসেছে। এবার সেই অর্থ জোগাড় করতে কালঘাম ছুটবে বোর্ডের। তবে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির বক্তব্য, এটা সাময়িক ধাক্কা। এর ফলে ভারতীয় ক্রিকেটে কোনও আর্থিক সঙ্কট দেখা দেবে না।

সৌরভ যাই বলুন না কেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভিভোর বিকল্প হিসেবে এক বছরের জন্য আইপিএলের টাইটেল স্পনসর খুঁজতে বেশ সমস্যা হচ্ছে বোর্ডের। এটা হয়তো ঠিক যে, বহুজাতিক সংস্থাগুলি ভারতীয় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে চায়। কিন্তু এক বছরের জন্য আইপিএলের মূল স্পনসর হতে চেয়ে কোনও সংস্থাই এই পরিস্থিতিতে ভিভোর মতো ৪৪০ কোটি টাকা দিতে রাজি হবে না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। ফলে বড় রকম আর্থিক ক্ষতি হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির। কারণ ভিভো প্রত্যেক মরশুমে যে অর্থ দেয়, তার অর্ধেক পায় বিসিসিআই। বাকি অর্ধেক টাকা ভাগ করে দেওয়া হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে। তাই নতুন টাইটেল স্পনসরশিপে চুক্তির অর্থ কমা মানে সরাসরি পকেটে টান পড়বে বোর্ড এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।

তবে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী সৌরভ। তিনি বলেছেন, ‘বিসিসিআই একটি শক্তিশালী সংস্থা। অনেক ঝড় ঝাপটা আমরা অতীতেও সামলেছি। কখনওই সাময়িক ক্ষতি নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। আমাদের উদ্দেশ্যই থাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় বোর্ডকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করা। সেই কাজ নিভৃতে আমরা করে চলেছি। খুব শীঘ্রই আইপিএলের নতুন টাইটেল স্পনসরের নাম ঘোষণা করা হবে। প্ল্যান বি আমাদের সব সময় তৈরি থাকে। যাতে আচমকা কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা কাটিয়ে উঠতে পারা যায় সহজেই। ভারতীয় ক্রিকেটের উপর কর্পোরেট সংস্থাগুলির যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। তাই যে কোনও বিচক্ষণ ব্যক্তি আইপিএলের মতো জনপ্রিয় টুর্নামেন্টে তার সংস্থাকে যুক্ত করতে চাইবে। আইপিএলের টাইটেল স্পনসর পাওয়া নিয়ে আমরা তাই বিচলিত নই। কোনও বিষয়ে তাড়াহুড়ো করলে হবে না। সময় সব কিছু ঠিক করে দেবে।’

সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল বিপুল সাফল্য পেয়েছিল। প্রশাসক সৌরভ গাঙ্গুলিও শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছেন। একদিকে যেমন তিনি ঘর সামলাচ্ছেন দক্ষ হাতে, তেমনি আইসিসি’র বোর্ড মিটিংয়ে একের পর এক ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। টি-২০ বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়া এবং আইপিএলের উইন্ডো খোলা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার প্রবল চাপ সত্ত্বেও ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ ভারতে আয়োজন করার ব্যাপারে আইসিসি’র সবুজ সংকেত ছিনিয়ে নেওয়া, সবই সৌরভের কৃতিত্ব হিসেবেই দেখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মহারাজ বলেছেন, ‘২০২১ সালে টি-২০ এবং ২০২৩ সালে ৫০-৫০ বিশ্বকাপ ভারতেই হবে। সেটা আইসিসি ঘোষণা করে দিয়েছে। এখন দেশের করোনা পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপরই সব কিছু নির্ভর করবে।’ 

সংগৃহীত


Share:

0 comments:

Post a Comment

Please do not enter any link in the comment Box

Blog Archive

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner