উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে তার পরিবার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। এর আইনগত দিক পর্যালোচনা করতে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় পর ২৫ মার্চ জামিনে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবার আবেদন করলে তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে ৬ মাস। এর এক মাস আগেই জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হলো।
![]() |
ছবি সংগৃহীত |
গত ২৪ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার গুলশানের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ সরকার শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু’টি শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো, এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
আইনমন্ত্রী তখন আরো বলেন, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা কেয়া এবং এই সময় বিদেশে না যাওয়ার শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি। সেই মতামত এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে গেছে।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের পরদিন ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে তার জানা নেই। তবে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার। এ জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো দরকার।
তিনি বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নির্দেশনায় দলের একটি চিকিৎসক দল খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন।
খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনের আবেদনের বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবীরা। এ বিষয়ে সরকার ইতিবাচক সাড়া দেবে বলেও আশাবাদী তারা।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box