সপ্তাহের শুরুতেই শুনানি শুরু হয়েছি ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদে হামলা চালানো ব্রেন্টন টেরান্টের। তিন দিন ধরে বহু প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহতদের পরিবারের জবানবন্দি শুনেছে আদালত। অনেকেই আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি যেন দেওয়া হয় ওই অপরাধীকে। মৃত্যুদণ্ডের আবেদনও এসেছিল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের প্রচলন নেই। সর্বোচ্চ ১৭ বছর পর্যন্ত সাজা ঘোষণাই সেখানে রীতি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কঠোরতম সাজা ঘোষণা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিচারপতি। রায় ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ১৭, ২৫, ৩৫ বছরের জন্য সাজা দেওয়া যেত এই সন্ত্রাসীকে। কিন্তু আদালত স্থির করেছে তাকে সারা জীবনের জন্য জেলে পাঠাবে।
![]() |
ছবি সংগৃহীত- নিউজিল্যান্ডের কঠোর শাস্তি দেওয়া হলো ক্রাইস্টচার্চে, জোড়া মসজিদে হামলাকারী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরান্টকে। এই প্রথম নিউজিল্যান্ডে কাউকে এত কঠোর শাস্তি দেওয়া হলো। |
প্রত্যাশিত শাস্তি পেল
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা চালানো সন্ত্রাসী। সারা জীবনের জন্য
তাকে জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একবারের জন্য প্যারোলে মুক্তি পাবে না সে।
তিনদিন ধরে চূড়ান্ত শুনানির পর এই রায় দিয়েছে আদালত। এই প্রথম নিউজিল্যান্ডে কাউকে
এত কঠোর শাস্তি দেওয়া হলো।কখনও প্যারলে বাইরে বেরতে পারবে না এই সন্ত্রাসী। এত
কঠোর সাজা নিউজিল্যান্ডে এর আগে কাউকে দেওয়া হয়নি। পুলিশের
কাছে ব্রেন্টন পরে বলে, দুইটি নয়, তিনটি মসজিদে হামলা চালানোর ইচ্ছে ছিল তার। শুধু
তাই নয়, প্রতিটা মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা
ছিল তার। নিজের কাজের জন্য কখনও অনুশোচনা প্রকাশ করেনি ব্রেন্টন। বরং কৃতকর্মের
পক্ষে সওয়াল করেছে। আদালতে প্রোপাগান্ডা করার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে
নিউজিল্যান্ডের প্রশাসন প্রথম থেকেই বিষয়টিকে কড়া হাতে মোকাবিলা করেছে। ঘটনার
কিছু দিনের মধ্যেই ব্রেন্টনকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৫
মার্চ ক্রাইস্টচার্চে পর পর দুইটি মসজিদে হামলা চালায় ২৮ বছরের ব্রেন্টন। প্রথমে
নূর এবং পরে লিনউড মসজিদে হামলা চালিয়েছিল সে। হামলার আগে মুসলিম বিদ্বেষী পোস্টার
শেয়ার করেছিল নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে। গোটা ঘটনাটা লাইভ স্ট্রিম করে
দেখিয়েছিল সে। ১৫ মার্চ ছিল জুম্মার নামাজের দিন। নামাজ পড়ে বহু মানুষ বাইরে
বেরচ্ছিলেন। ঠিক সে সময়েই অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করে ব্রেন্টন। একের পর এক
মানুষ মাটিতে লুটিয়ে পড়তে শুরু করেন। মসজিদের ভিতরে ঢুকেও গুলি চালাতে থাকে
ব্রেন্টন। সব মিলিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করে সে। ৪০ জন গুরুতর আহত হন।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box