Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Tuesday, November 24, 2020

আইসিসির(ICC) দশক সেরা ক্রিকেটার তালিকায় মনোনয়ন পায়নি টাইগারা।

আইসিসির(ICC) দশক সেরা ক্রিকেটার হিসেবে মোট সাতজনের নাম প্রস্তাব করেছে আইসিসি। এদের মধ্যে সেরা ক্রিকেটারকে বেছে নেবেন জুরি সদস্যরা। এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন আধুনিক ক্রিকেটের ফ্যাব ফোরের চার সদস্য  স্টিভ স্মিথ, জো রুট, কেন উইলিয়ামসন, বিরাট কোহলি। সেই সঙ্গে তালিকায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ডিভিলিয়ার্স এবং সাঙ্গাকরার আইসিসির স্পিরিট অফ ক্রিকেটপুরস্কারের জন্যও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার এই পাঁচ বিভাগে জন্য কটি পুরস্কার কে পাবেন?
এছাড়া টি-২০, ওয়ানডের ও টেস্টের দশক সেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন যারা। এক নজরে মনোনীতদের তালিকা

আইসিসির দশক সেরা ক্রিকেটার: স্টিভ স্মিথ, জো রুট,  কেন উইলিয়ামসন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, এবি ডিভিলিয়ার্স, বিরাট কোহলি, এবং কুমার সাঙ্গাকরা।

দশক সেরা টেস্ট ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, জো রুট, কেন উইলিয়ামসন, জেমস অ্যান্ডারসন, রঙ্গনা হেরাথবিরাট কোহলি ও  ইয়াসির শাহ।

দশক সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার: লাসিথ মালিঙ্গা, মিচেল স্টার্ক, এবি ডিভিলিয়ার্স, কুমার সাঙ্গাকরা, বিরাট কোহলিরোহিত শর্মা এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি

দশক সেরা টি-২০ ক্রিকেটার: রশিদ খান, ইমরান তাহির, অ্যারন ফিঞ্চ, লাসিথ মালিঙ্গা, ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা 

আইসিসি স্পিরিট অফ ক্রিকেট মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে: কেন উইলিয়ামসন, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, মিসবা উল হক, মহেলা জয়বর্ধনে, ড্যানিয়েল ভেত্তোরি, বিরাট কোহলিমহেন্দ্র সিং ধোনি। এছাড়াও দুজন মহিলা ক্রিকেটার ইংল্যান্ডের আনা শ্রুবস্লে এবং ক্যাথরিন ব্রান্ট।

এঁরা ছাড়াও ভারতের দুজন মহিলা ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন দশক সেরাদের তালিকায়। আইসিসির দশক সেরা মহিলা ক্রিকেটারা মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামী আইসিসির দশক সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হওয়ার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
Share:

পঞ্চবার্ষিকীর পরিকল্পনা জন্মহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে চিন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনে (China) যেভাবে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তা কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমবে বলেই মনে করছেন শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। তাদের হিসেবে অনুযায়ী, গত বছরের শেষ পর্যন্ত গোটা দেশে ৬০ বছর ও তার উপরে থাকা মানুষের সংখ্যা ছিল ২৫ কোটি ৪০ লক্ষ। যা মোট জনসংখ্যার ১৮.০১ শতাংশ। ২০২৫ সালে এই সংখ্যা ৩০ কোটি ও ২০৩৫ সালে ৪০ কোটিতে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ২০৫০ সালে পৌঁছে চিনে মাত্র ২০ কোটি লোক কর্মক্ষম থাকবে। এর ফলে যেমন উৎপাদন কম হবে তেমনি বয়স্ক মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করতে প্রচুর সরকারি অর্থ খরচ করতে হবে। তাই ১৯৭৮ সালে চালু হওয়া এক সন্তান নীতির বদলে চিনের সরকার আরও বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য নাগরিকদের উৎসাহ দিচ্ছে। এর জন্য বাড়তি সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে।
ফাইল ছবি
এ যেন ফের উলটো পথে ফিরে যাওয়া। ১৯৭৮ সালে দেশের অর্থনৈতিক অভাব দেখা দেওয়ায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পথে হেঁটে ছিল বেজিং। উদ্দেশ্য ছিল, দেশের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর সঙ্গে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। কিন্তু, আজ ৪২ বছর বাদে পুরনো সেই নীতি বদলে জন্মহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বেজিং। দেশে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক মানুষের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য এনে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়াতে তারা বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। এর জন্য ২০২১-২৫ সাল পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী (five-year plan) পরিকল্পনাও নিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

সোমবার চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, নতুন নীতি অনুযায়ী, নাগরিকদের আরও বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হবে। জন্মহার বাড়াতে দম্পতিদের আর্থিক সাহায্যও করা হবে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের মানোন্নয়নেও জোর দিতে হবে। এর ফলে চিনের অর্থনীতি আরও বৃদ্ধি পাবে।
Share:

দেশে করোনা আক্রান্ত সাড়ে ৪ লাখ ছাড়াল

 মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ দিন সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৬৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জন।
নতুন ১৫০১৮ নমুনা পরীক্ষায় ২২৩০ করোনা রোগী শনাক্ত, শনাক্তের হার ১৪.৮৫। করোনায় দেশে আরও ৩২ জনের মৃত্যু, মোট প্রাণহানি বেড়ে ৬৪৪৮। দেশে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ করোনা রোগী শনাক্ত, আরও ২২৬৬ জনসহ মোট সুস্থ ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭।

ওয়েবসাইট তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ লাখ ২ হাজার ২৮ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ৮০২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৩ জন।

সুস্থতার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে আছে ভারত (৮৬ লাখ ৪ হাজার ৯৫৫ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৭৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৪০ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (৫৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫ জন)।

২৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার)-এর আপডেট 

 

 গত ২৪ ঘণ্টায়

  মোট

 শনাক্ত

 ২২৩০

 ৪৫১৯৯০

 মৃত্যু

  ৩২

 ৬৪৪৮

 সুস্থ 

 ২২৬৬

 ৩৬৬৮৭৭

 পরীক্ষা

  ১৫০১৮

 ২৬৮০১৪৯



Share:

বঙ্গবন্ধু টি-২০ রাজশাহীর জয় দিয়ে শুরু

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।
মিরপুরে রৌদ্রজ্জ্বল দুপুরে মুশফিকের ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে শুরুতেই ব্যাট করতে নামে শান্তর রাজশাহী। ওপেনিংয়ে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন দু'জন। ২ ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ মিসের কারণে নতুন জীবন পান ইমন। এরপর দু'জন মিলে দলীয় স্কোরে তোলেন ৩১ রান। শান্ত ফিরে যান ১৭ রান কোরে। ৩৫ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন ইমন। মাঝে রনি, আশরাফুলরা বেশিক্ষণ টেকেননি। এরপর দলের হাল ধরেন নুরুল ও মেহেদী হাসান। খাঁদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন দু'জন। তাদের ৮৯ রানের অনবদ্য ইনিংসে দলীয় স্কোরে ১৫৬ রান তোলে রাজশাহী। মেহেদীর ফিফটি আর নুরুলের ৩৯ রানে সুবাদে ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের স্কোর পায় রাজশাহী।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানে তানজিদকে হারায় ঢাকা। ব্যর্থ হন ইয়াসির আলীও (৯)। মোহাম্মদ নাঈমের ২৬ রানের পর মুশফিকের ৪১ রানের ইনিংসটি আশা জাগিয়েছিলো ঠিকই। আকবর আলীর ৩৪ রানের লড়াকু ইনিংসের সঙ্গে ১৬ বলে ২৭ রান করে জয়ের কিনারায় নিয়ে যান মুক্তার আলী। তবে দলকে শেষ হাসিটা হাসাতে পারেননি।

১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা।
Share:

Monday, November 23, 2020

ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’

নভেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছিল, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দুয়েকটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে; যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, ওই ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলেও এর প্রভাব বাংলাদেশে প্রড়বে না; ভারত-শ্রীলঙ্কার দিকে যাবে। নিম্নচাপটি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখানে ঝড়-বৃষ্টি সেভাবে হবে বলে আমরা মনে করছি না।’

অগ্রহায়ণের প্রথম ভাগেই হিমেল হাওয়ায় দেশের উত্তর জনপদের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

ওই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ভারতের আবহাওয়া দফতর সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী বুধবার তামিলনাড়ুর মমল্লপুরম এবং পুদুচেরির কারাইকলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এর প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় এ রাজ্যগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে তামিলনাড়ু-পুদুচেরি উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে।

ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপের রূপ নিয়ে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে, ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

তথ্য সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
Share:

Sunday, November 22, 2020

দুই হাজার বছর আগের অগ্নুৎপাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেহাবশেষ উদ্ধার।

প্রায় দুই হাজার বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল প্রাচীন রোমান শহর পম্পেই। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই শহরের উপকণ্ঠ থেকে ওই অগ্নুৎপাতের সময় নিহত দুই ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে যাদের একজন উচ্চ শ্রেণি মর্যাদার এবং অন্য ব্যক্তি তার দাস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পম্পেই এর প্রত্নতত্ত্ব পার্কের পরিচালক মাসিমো ওসান্না বলেছেন, "সেসময় তারা হয়তো অগ্নুৎপাতের হাত থেকে বাঁচার জন্য কোন আশ্রয় খুঁজছিল এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা লাভার স্রোতে ভেসে গেছে।"

মাউন্ট ভিসুভিয়াস থেকে ৭৯ খৃস্টাব্দে অগ্নুৎপাতের কারণে পম্পেই শহরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এসময় গোটা শহর ছাই-এর নিচে ডুবে যায়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বহু বছর ধরেই এই শহরে গবেষণা চালিয়ে আসছেন।
প্রাচীন এই শহরের উপকণ্ঠে খনন কাজ চলার সময় এমাসেই ওই দুটো দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়।

কর্মকর্তারা বলছেন, ধনী ব্যক্তিটির বয়স হবে ৩০ থেকে ৪০। তার গলার নিচে গরম উলের কাপড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স হবে ১৮ থেকে ২৩। কর্মকর্তারা বলছেন, তার মেরুদণ্ডের অংশ পরীক্ষা করে ধারণা করা যায় যে তিনি কায়িক পরিশ্রম করতেন এবং একজন দাস ছিলেন।তাদের মুষ্টিবদ্ধ হাত ও পা দেখে বোঝা যায় যে তারা পুড়ে গিয়ে বা প্রচণ্ড তাপে মারা গেছে," বলেন ওসান্না।

তিনি বলেন, এই দুটো দেহাবশেষ উদ্ধারের মাধ্যমে অগ্নুৎপাতের ব্যাপারে দারুণ সব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই স্থানে খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে। এলাকাটি ইতালির নেপলস শহরের কাছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এলাকাটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি
Share:

মরন ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার ও বাংলাদেশ

ক্যান্সার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। বর্তমানে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। 

ক্যান্সার কী ?
বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের মাধ্যমে তৈরি। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায়। এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ এসে জায়গা করে নেয়। সাধারনভাবে কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়। সাধারনভাবে বলতে গেলে যখন এই কোষগুলো কোনও কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে। এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজনক্ষম হয়ে বৃদ্ধি পাওয়া কলাকে নিওপ্লাসিয়া (টিউমার) বলে, এবং সেই রকম ক্রিয়া যুক্ত কোষকে নিওপ্লাস্টিক কোষ বলে। নিওপ্লাস্টিক কোষ আশেপাশের কলাকে ভেদ করতে না পারলে তাকে বলে নিরীহ বা বিনাইন টিউমার। বিনাইন টিউমর ক্যান্সার নয়। নিওপ্লাসিয়া কলা ভেদক ক্ষমতা সম্পন্ন হলে তাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার, এবং তার অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনক্ষম ভেদক ক্ষমতাযুক্ত কোষগুলিকে ক্যান্সার কোষ বলে। অনেক ক্যান্সার প্রথমে বিনাইন টিউমার হিসাবে শুরু হয়, পরে তার মধ্যেকার কিছু কোষ পরিবর্তিত (ট্রান্সফর্মেসন) হয়ে ম্যালিগন্যান্ট (অর্থাৎ ভেদক ক্ষমতাযুক্ত) হয়ে যায়। তবে বিনাইন টিউমার ক্যান্সারে পরিবর্তিত হবেই তার কোন স্থিরতা নেই। কিছু বিনাইন টিউমার সদৃশ ব্যাধি আছে যাতে ক্যান্সার হওয়া অবশ্যম্ভাবী - এদের প্রি-ক্যান্সার বলে। নামে বিনাইন অর্থাৎ নিরীহ হলেও বিনাইন টিউমারও চাপ দিয়ে আশেপাশের কলার ক্ষতি করতে পারে। মেটাস্ট্যাসিস হলো ক্যান্সারের একটি পর্যায়, যাতে ক্যান্সার কোষগুলি অন্যান্য কলাকে ভেদ করে ও রক্ত, লসিকাতন্ত্র (Lymphatic System) ইত্যাদির মাধ্যমে দূরবর্তী কলায় ছড়িয়ে যায়। স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর যদি আমরা ধুমপান করি তাহলে অন্যথায় এটি নাও হতে পারে।

ক্যান্সারের কারণ-ঠিক কি কারণে ক্যান্সার হয় সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সাধারণ কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।

বয়স
সাধারণত বয়স যত বাড়তে থাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তত বাড়তে থাকে, কারণ এ সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এক হিসেবে দেখা যায় যত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের শতকরা ৭০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের ওপর।

খাবার এবং জীবনযাপনের ধারা
খাবার এবং জীবনযাপনের ধারার সাথে ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে গবেষকরা। যেমন, ধুমপান বা মদ্যপানের সাথে ফুসফুস, মুখ ও কণ্ঠনালীর এবং যকৃৎ বা লিভারের ক্যান্সারের যোগাযোগ রয়েছে। তেমনই ভাবে পান-সুপারি, জর্দা, মাংস, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ইত্যাদি খাবারের সাথেও ক্যান্সারের যোগসূত্র রয়েছে। যারা সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাদের মধ্যেও ক্যান্সারের প্রবণতাটা বেশি।

পারিবারিক ইতিহাস
ক্যান্সারের সাথে জিনগত সম্পর্ক রয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই কারণে পরিবারের কারো যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থাকে তাহলে অন্যদেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়।

ক্যান্সারের সাধারণ কিছু লক্ষণ
মানবদেহে যে সকল স্থানে ক্যান্সার ধরা পড়েছে তা হল প্রস্টেট গ্রন্থি, স্তন, জরায়ু, অগ্ন্যাশয়, রক্তের ক্যান্সার, চামড়ায় ক্যান্সার ইত্যাদি। একেক ক্যান্সারের জন্য একেক ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে।
  • খুব ক্লান্ত বোধ করা
  • [ক্ষুধা] কমে যাওয়া
  • শরীরের যে কোনজায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া
  • দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা
  • মলত্যাগে পরিবর্তন আসা (ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া)
  • জ্বর, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া
  • অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা
  • অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া
  • ত্বকের পরিবর্তন দেখা যাওয়া
  • মানসিক অস্বস্তি
বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন।

আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা বলছে, দেশটিতে এবছর দেড় লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
কিন্তু বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা যা আছে, তা একদিকে অপ্রতুল এবং অন্যদিকে দীর্ঘ মেয়াদে অনেক ব্যয়বহুল। আক্রান্তদের অনেকে বলেছেন, চিকিৎসা ব্যয় সামলাতে গিয়ে জমিজমা বিক্রি করে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।

ঢাকায় জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ৩০০ শয্যার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ রোগীই নিম্ন আয়ের পরিবারের নারী এবং পুরুষ।

সেখানে রোগীদের কয়েকজন বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সরকারি এই হাসপাতালে খরচ কিছুটা কম। কিন্তু লম্বা সময় ধরে সেটাও সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন নারী বলেছেন, সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা পাওয়ার জন্যও তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।

"আমি ঢাকার বাইরে থেকে আসি। কিন্তু এখানে সময়মতো সিরিয়াল পাই না। আসলে বলে ১০দিন পরে আসেন। আবার কয়েকদিন পর আসতে বলে। আমি সময়মতো চিকিৎসা পাই না। টাকাও অনেক খরচ হয়। সেটা যোগাড় করাও আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের সমস্যা, খুব সমস্যা।"

মধ্যবিত্তরাও বিপদে, কিন্তু তারা কাউকে বলতে পারেন না
জামালপুরের একজন গৃহিনী ইসমত আরা নাজমা ক্যান্সারে আক্রান্ত হন নয় বছর আগে।
তাঁর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর প্রথম পর্যায়ে অপারেশন করতেই পাঁচ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়।
এরপর ধাপে ধাপে চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে।

আক্রান্ত হওয়ার দুই বছরের মাথায় তাঁর স্বামী স্ট্রোক করে মারা যান। তখন স্কুল শিক্ষার্থী দুই ছেলে মেয়ের পড়াশুনা এবং অন্যদিকে নিজের ব্যয়বহুল চিকিৎসা সামলাতে গিয়ে বেশ কষ্ট হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের ইসমত আরা নাজমার।

"তখন আমার স্বামী ছিল। চাকরি করতো। দুইটা ছেলে মেয়ে লেখা-পড়ার মধ্যে ছিল। ঐ সময় ক্যান্সার ধরা পড়লো। তারপরে অপারেশন হওয়ার পরে তো আমার স্বামী নিজেই স্ট্রোক করে মারা গেলো। শুধু টেনশন করে উনি মারা গেলেন। যাই হোক, আমার জন্য একটু জুলুমই হচ্ছে, তারপরও চিকিৎসা না করলে তো হয় না।"

"চেক আপ করাতে যাই। অনেক টেস্ট দেয়, তাতে অনেক টাকা লাগে। মাঝখানে একটা টেস্ট দিয়েছিলো, তাতে ৬৫ হাজার টাকা লাগে। এত টাকা লাগে, আমার জন্য জুলুম হয়ে যায়। ধরেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর আমার আব্বা বেঁচে ছিলেন। তিনি এবং আমার ভাইরা সাহায্য করেছেন। কত আর তাদের কাছ থেকে নেই। তো এখন ঐ জমিজমার মধ্যে হাত দেই।"
পুরোপুরি ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় হরমোন থেরাপি থেকে শুরু করে রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এবং অনেক ঔষধের প্রয়োজন হয়।
এর প্রতিটি ধাপেই বড় অংকের অর্থ গুনতে হয়।

'চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য অনেকে দারিদ্র সীমার নীচে নেমে যাচ্ছে'
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিজামউদ্দিন আহমেদ একজন চিকিৎসক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে উল্লেখ করেন, চিকিৎসা ব্যয় পরিবারগুলোকেই পঙ্গু করে দিচ্ছে।
"একটা ক্যান্সার ইনস্টিটিউট আছে। কেউ কেউ ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরেও যান। কিন্তু সেটা দিয়ে কি আমরা বলতে পারি, জাতীয়ভাবে আমরা সমর্থ, মোটেও না।"
তিনি আরও বলেছেন, "প্রতিবছর অনেক মানুষ চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য দরিদ্র সীমার নীচে নেমে যাচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক মানুষই ধারণা না থাকায়, এই সেবা নিতে গিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন, নিজে মারা যাচ্ছেন, তার পরিবারকেও মেরে রেখে যাচ্ছেন। এই নিষ্ঠুর সত্যটা আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না বুঝবো, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্যান্সার শব্দটা নিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি হবেই।"

ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা আছে?
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় একটি মাত্র বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি।

ঢাকার বাইরে মাত্র দু'টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সীমিত আকারে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এই রোগের চিকিৎসা সেবা মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছিলেন, ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সে কারণে রোগীদের সেবা পেতেও সময় লেগে যাচ্ছে।

"যা করছি আমরা ঢাকায় করছি। কিন্তু ১ লাখ ৫০ হাজার রোগী যদি নতুন করে আক্রান্ত হয়, এর যদি তিন ভাগের একভাগ রোগীও ডায়াগনসিস হয়, তাহলে যে ক'টা হাসপাতাল আছে, তাতে ৫০ হাজার রোগীর চিকিৎসা ঢাকা শহর কি করে দেবে?"

"লম্বা সময় লেগে যাচ্ছে। কেমোথেরাপি দিতে এক সপ্তাহ থেকে এক মাস এবং রেডিও থেরাপির সিরিয়াল পেতে চার পাঁচ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে। অপারেশনেই এরকম সময় লাগছে। ফলে ঢাকার বাইরে অন্তত বিভাগীয় শহরে এই চিকিৎসা গড়ে তুলতে না পারলে মানুষের সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।"

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও সংকট রয়েছে
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকটের কারণে বিশেষায়িত হাসপাতাল সেভাবে গড়ে উঠছে না বলেও বিশ্লেষকরা বলছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও স্বীকার করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকটের কথা।
কিন্তু এ ব্যাপারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোনো উদ্যোগ নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাবেরা খাতুন নারীদের ক্যান্সার নিয়ে কাজ করেন।
তিনি বলছিলেন, একটি হাসপাতালেই ক্যান্সারের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার ব্যবস্থা এখনও করা যায়নি। ফলে রোগীকে চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায়ে হাসপাতাল পাল্টাতে হয়।
"বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। শুধু বিশেষজ্ঞ হলেই তো হবে না। হাসপাতালে সুবিধা দরকার। সরকারি পর্যায়ে হাসপাতালে সে রকম সুবিধা আছে। কেমোথেরাপিটা ভালই হচ্ছে। কিন্তু রেডিওথেরাপির ব্যাপারে ভীষণ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। যেখানে ১২৬টা রেডিও থেরাপি সেন্টার থাকার কথা, সেখানে হাতে গোনা কয়েকটা আছে। আট দশটাও হবে না।"

সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই কেন?
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
গত বছর ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার।
আন্তর্জাতিক সংস্থাটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে এই পরিসংখ্যান দিয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো পরিসংখ্যান নেই। এর কোনো উদ্যোগ কখনও নেয়া হয়নি।
হাবিবুল্লাহ তালুকদার মনে করেন, বাংলাদেশের নিজেদের করা বাস্তবসম্মত কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় চিকিৎসা সেবার পরিকল্পনা করাও সম্ভব হচ্ছে না।

"২০০৯ সালে ক্যান্সার প্রতিরোধে একটা নীতিমালা করা হয়েছিল যেটা আর আপডেট করা হয়নি। সেই নীতিমালা অনুযায়ীও যে সব হচ্ছে, সেটা বলা যায় না। এরজন্য সবার আগে দরকার আমাদের নিজস্ব একটা পরিসংখ্যান। রোগীর সংখ্যা কত..কি ধরণের ক্যান্সার বেশি হচ্ছে, এগুলো যদি না জানতে পারি, তাহলে কিভাবে আমরা পরিকল্পনা নেবো।"

তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে, বিবিসি বাংলা, ঢাকা
Share:

সারাদেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৬৩৮৮ জন।

রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ২ হাজার ৬০ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪১ জন। আরো ৩৮ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৮৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ২ হাজার ৭৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪২৮জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা ছিল এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

ওয়েবসাইট তথ্যানুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৩৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩৭৭ জন। 

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। বিশ্বের ক্ষমতাধর এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। 

২২ নভেম্বর (রোববার)-বাংলাদেশ করোনা আপডেট 

 

 গত ২৪ ঘণ্টায়

  মোট

 শনাক্ত

 ২০৬০

 ৪৪৭৩৪১

 মৃত্যু

 ৩৮

 ৬৩৮৮

 সুস্থ 

 ২০৭৬

 ৩৬২৪২৮

 পরীক্ষা

 ১৩৪২৮

২৬৪৯০৭২

 


Share:

একবার আক্রান্তের পর দ্বিতীয়বার আক্রান্তের শঙ্কা কম: অক্সফোর্ড

গবেষণার এই ফল বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তদের স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। আর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে মেডরিক্সিভ ওয়েবসাইটে। করোনায় একবার আক্রান্তের পর ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আক্রান্তের আশঙ্কা নেই বললেই চলে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চালানো এ গবেষণার আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। একে সুখবর বলছেন গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড আইয়ার।
দ্বিতীয় দফায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার কয়েকটি ঘটনায় রয়েছে উদ্বেগ। খবর আসে, সংক্রমণের পর মানবদেহে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশিদিন স্থায়ী নাও থাকতে পারে, আছে আবারও অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা। আর এ বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর গবেষণা চালিয়েছে অক্লাসফোর্ড।

বিশ্ববিদ্যালয়টির জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড আইয়ার জানিয়েছেন, প্রথমবার করোনা আক্রান্ত হওয়া বেশির ভাগ মানুষের শরীরেই তৈরি হয় এন্টিবডি, আর এতে অন্তত ৬ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের শঙ্কা থাকে না। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অ্যান্টিবডি পজিটিভ ফল আসা কারও ক্ষেত্রেই করোনা সংক্রমণের নতুন কোনো লক্ষণও পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে চালানো হয়েছিল এই গবেষণা। ৩০ সপ্তাহের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবডি না থাকা ১১ হাজার ৫৮ কর্মীর মধ্যে ৮৯ জনের ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গসহ নতুন সংক্রমণ দেখা গেছে। আর অ্যান্টিবডি থাকা এক হাজার ২শ ৪৬ জনের কেউ আক্রান্ত হননি।
Share:

Saturday, November 21, 2020

মাধ্যমিকে আর থাকছে না বিভাগ-বিভাজন

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, নতুন কারিকুলাম অনুসারে নতুন বই ছাপানো হবে। এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে প্রথম শ্রেণি ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নতুন কারিকুলাম ও বই পাবে। যথাসময়ে বই পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়ে এ স্তরের নতুন কারিকুলাম চূড়ান্ত হবে ২০২০ সালে মাঝামাঝি সময়ে। ২০২২ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং ২০২৩ সালে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইও পরিবর্তন করা হবে।

প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত কারিকুলামে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এ পরিবর্তনে নবম শ্রেণি থেকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ বিভাজন আর থাকছে না। আগামীতে নবম-দশম শ্রেণিতে সবাইকে একই কারিকুলামের একই পাঠ্যবই পড়তে হবে। এতে একজন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরে সব বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে বিভাগ বিভাজন শুরু হবে। এ লক্ষ্যে কারিকুলাম উন্নয়ন সংশ্নিষ্টদের নিয়ে দফায় দফায় কর্মশালা করে সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কারিকুলাম পরিবর্তনের পাশাপাশি পাঠ্যবইও বদলে যাবে। এবারই প্রথমবারের মতো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কারিকুলাম একসঙ্গে পরিবর্তন ও সমন্বয় করা হচ্ছে। পাশাপাশি ২০২২ সালে সপ্তম শ্রেণি, নবম ও একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই পরিবর্তন হবে। আর ২০২৩ সালে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হবে।
ফাইল ছবি
কারিকুলামে বড় পরিবর্তনের মধ্যে অষ্টম শ্রেণি থেকে বিভাগ তুলে দিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করা হবে। ফলে এ স্তরে বিজ্ঞান, মানবিক বা বাণিজ্য নামে কোনো বিষয় থাকবে না। সবাইকে সব বিষয় পড়তে হবে বা বিষয় পছন্দের সুযোগ থাকবে। এতে একজন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরে সব বিষয়ে জ্ঞান লাভ করবে। সংশ্নিষ্টদের ধারণা, দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর সব বিষয়ে সমান ধারণা থাকা উচিত। নবম শ্রেণির বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ উঠিয়ে দেওয়া হলে ২০২৩ সাল থেকেই নতুন কারিকুলাম ও বই পাবে।

কারিকুলামে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পাবলিক পরীক্ষার সংখ্যা ও নম্বর কমিয়ে আনা। ফলে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়নের পরিমাণ বাড়ানো হবে। শ্রেণিকক্ষে সব বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নে ২০ নম্বর রাখা হবে। এতে পাবলিক পরীক্ষার নম্বর কমে যাবে। বর্তমানে গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষি পরীক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। নতুন কারিকুলামে যুক্ত হবে সব বিষয়।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান সমকালকে বলেন, 'নতুন কারিকুলাম নিয়ে কাজ চলছে। সে অনুযায়ী বইও পরিবর্তন করা হবে।'

জানা গেছে, প্রাথমিক স্তরেও বর্তমান চাহিদার ওপর ভিত্তি করে কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক এমন বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাঠ্যবইয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থা, জঙ্গিবাদ, নিরাপত্তা বিষয়গুলো যুক্ত করা হবে। শ্রেণিকক্ষে পড়ার পাশাপাশি কাজটি করে দেখানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। যুক্ত থাকবে খেলাধুলাও।

এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান সমকালকে বলেন, 'আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের জন্য পৃথক সময়ে কারিকুলাম পরিবর্তন হওয়ার কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কারিকুলামে কোনো সমন্বয় থাকত না। এবারই একসঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের কারিকুলাম পরিমার্জন করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে না।'

তিনি বলেন, প্রাথমিক স্তরের কারিকুলামের ক্ষেত্রে সময়ের চাহিদাগুলো বিবেচনায় আনা হচ্ছে। বইয়ে কাগজে নৌকার ছবি থাকলে শিক্ষার্থীদের তা শ্রেণিকক্ষেই বানিয়ে দেখাতে হবে। এতে শিশু শিক্ষার্থীর কাজের দক্ষতা বাড়বে।

জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে ২০১৬ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যদের নিয়ে ওই বছরের ২৫ ও ২৬ নভেম্বর কক্সবাজারে দু'দিনের আবাসিক কর্মশালা হয়। এতে শিক্ষাবিদরা বেশকিছু সুপারিশ করেন। সেই সুপারিশমালা বাস্তবায়নে কয়েকটি সাব-কমিটিও গঠন করা হয়। শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা সাব-কমিটি ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ৮ দফা প্রস্তাব করেছিল। প্রস্তাবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষাক্রম বিষয়বস্তুর গুরুত্ব অনুসারে তিন গুচ্ছে ভাগ করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়। 'ক' গুচ্ছে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত। 'খ' গুচ্ছে বিজ্ঞান, সমাজ পাঠ (ইতিহাস পৌরনীতি ও ভূগোল)। 'ক' ও 'খ' গুচ্ছ বাধ্যতামূলক। আর 'গ' গুচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি, চারু-কারুকলা, শরীরচর্চা ও খেলাখুলা, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, কৃষি ও গার্হস্থ্য, নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি। এ ছাড়া 'ঘ' গুচ্ছে প্রকৌশল প্রযুক্তি (বিদ্যুৎ, যন্ত্র, কাঠ, ধাতু ইত্যাদির ব্যবহারিক জ্ঞান ও প্রয়োগ) যুক্ত করার মত দেন শিক্ষাবিদরা। শিক্ষাবিদরা 'গ' গুচ্ছের বিষয়গুলোর জন্য কোনো পাবলিক পরীক্ষা না নিয়ে বিদ্যালয়েই ধারাবাহিক মূল্যায়ন করার পরামর্শ দেন। আর শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কর্ম ও পেশা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নবম ও দশম শ্রেণিতে আগের শ্রেণির গুচ্ছের সঙ্গে 'ঘ' গুচ্ছ যুক্ত করার কথা বলেন। এই গুচ্ছে রয়েছে পদার্থ, রসায়ন, জৈববিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, হিসাব, বিপণন, ব্যবস্থাপনা ও অর্থনীতি। 'ঘ' গুচ্ছ থেকে যে কোনো দুটি বিষয় শিক্ষার্থীরা পছন্দ করে নিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা করলে 'ঘ' গুচ্ছ থেকে ঐচ্ছিকভাবে আরও একটি বিষয় নিতে পারবে। তবে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষাবিদরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পাঁচটি বিষয় বাধ্যতামূলক ও দুটি ঐচ্ছিক বিষয় রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। ধর্ম বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষা না নিলে সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণি ক্ষুব্ধ হতে পারেন। সে বিবেচনায় ধর্ম ও তথ্যপ্রযুক্তি বাধ্যতামূলক বিষয় করার মত দেন তারা। এ ক্ষেত্রে ঐচ্ছিক বিষয় একটি কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। নবম-দশম শ্রেণিতে পাঁচটি বাধ্যতামূলক বিষয় ছাড়া 'গ' গুচ্ছ থেকে দুটি ও 'ঘ' গুচ্ছ থেকে দুটি বা তিনটি বিষয় নিতে হবে। ফলে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪টি থেকে চারটি বিষয় কম যাবে। অর্থাৎ ঐচ্ছিক বিষয়সহ মোট ১০টি বিষয়ের পাবলিক পরীক্ষা হবে।
Share:

দেশে আবারো বেড়েছে করোনা

শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ দিন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৫২ জন।
ওয়েবসাইট তথ্যানুযায়ী, শনিবার (২১ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ কোটি ৭৯ লাখ ২ হাজার ১৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫২৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ১ লাখ ২ হাজার ২৮৪ জন।

এছাড়া, গত একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে  ১১ হাজার ৮৫ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ৬০ হাজার ২৮৩ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। বিশ্বের ক্ষমতাধর এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২২ লাখ ৭৪ হাজার ৭২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

২১ নভেম্বর (শনিবার)-বাংলাদেশ করোনা আপডেট 

 

 গত ২৪ ঘণ্টায়

  মোট

 শনাক্ত

 ১৮৪৭

 ৪৪৫২৮১

 মৃত্যু

 ২৮

 ৬৩৫০

 সুস্থ 

 ১৯২১

 ৩৬০৩৫২

 পরীক্ষা

 ১২৬৪৩

২৬৩৫২০২


Share:

পাকিস্তানে বন্ধ হতে চলেছে গুগল, ফেসবুক, টুইটার! হুঁশিয়ারি তিন সংস্থার।

পাকিস্তান ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিল গুগল, ফেসবুক ও টুইটার।বিশ্বের এই তিন বৃহত্তম টেক ও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার এমন হুঁশিয়ারিতে অস্বস্তিতে ইমরান খান‌ের সরকার। ইন্টারনেটে যা কিছু উপলব্ধ, তার সবই এবার থেকে সেন্সর করার নয়া নিয়ম চালু করেছে ইসলামাবাদ। আর তাতেই চটেছে এই সব শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট সংস্থাগুলি।
শুক্রবার এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশন (The Asia Internet Coalition) AIC-র তরফে এক টুইটে এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। গুগল, ফেসবুক ও টুইটারও এর সদস্য। তাদের টুইটে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে তাতে সাফ জানানো হয়েছে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তৈরি পাক সরকারের কিছু নিয়মের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংস্থাগুলিকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কী বলা হয়েছে নতুন পাক আইনে? তাতে ডিজিটাল কন্টেন্ট সেন্সর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। যাকে বাকস্বাধীন‌তা রোধ করার প্রয়াস হিসেবেই এই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

পাকিস্তানের এই নয়া আইনকে ‘প্রিভেনশন অফ ইলেকট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্ট ২০১৬’ বা পেকা আইন‌ের অন্তর্গত করা হয়েছে। নতুন আইনে উদ্বিগ্ন AIC জানাচ্ছে, এই কড়া আইনের ফলে মানুষের কাছে ইন্টারনেট আর ততটা মুক্ত থাকবে না। ফলে একদিকে বাকি বিশ্বের থেকে পাকিস্তানের ডিজিটাল অর্থনীতি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণের মতো পদক্ষেপের জন্য জোর করা হবে। ফলে গুগল, ফেসবুক কিংবা টুইটারের মতো সংস্থার পক্ষে ব্যবসা কিংবা সাধারণ গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা দেওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গেই পাক সরকারকে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তান যদি প্রযুক্তিতে লগ্নির জন্য আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠতে চায় তাহলে তাদের বাস্তবানুগ ও পরিষ্কার আইন করতে হবে। যাতে ইন্টারনেট থেকে লাভবান হতে পারে সাধারণ মানুষ।
Share:

Blog Archive

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner