Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Saturday, November 7, 2020

দৌলতদিয়া পতিতালয় ।

বাংলাদেশে পতিতাবৃত্তি আইন অনুযায়ী বৈধ, তবে তা নিয়ন্ত্রিত। পতিতা হিসেবে কাজ করতে হলে তাকে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে এবং আদালতে উপস্থিত হয়ে একটি হলফনামা জমা দিতে হবে এই মর্মে যে, তারা তাদের নিজস্ব পছন্দ ও জোরজবরদস্তি ছাড়াই পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং তারা অন্য কোন পেশা খুঁজে পেতে অসমর্থ। বাংলাদেশের পতিতাদের প্রায়ই অত্যন্ত দরিদ্র সামাজিক অবস্থার শিকার এবং ঘন ঘন সামাজিকভাবে নিগ্রহের সম্মুখীন হয়।

নীতি ও আইন
বাংলাদেশে পতিতাবৃত্তি আইনগত বৈধ। তবে বাংলাদেশের সংবিধান বলছে যে, "রাষ্ট্র জুয়া ও পতিতাবৃত্তি প্রতিরোধ করবে।" দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিশু পতিতাবৃত্তি, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, অবৈধ পতিতালয় ইত্যাদির বিরুদ্ধে আইন আছে।
এনজিওর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের যৌনকর্মীরা এইচআইভি/এইডস এর মত সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিভিন্ন আইন কখনও কখনও পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। ২০০০ সালে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত রায় দেয় যে, দেশে ১০০ জন পতিতা গ্রেফতার অভিযান ছিল বেআইনি, এবং পতিতাবৃত্তি একটি বৈধ পেশা।তবে প্রায়ই পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে হোটেলে বেআইনি পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে এবং পতিতা ‍ও তাদের গ্রাহকদের উভয়কে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দেয়।দৌলতদিয়া পতিতালয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতিতালয় । এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় গণিকালয়গুলোর একটি। এখানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী পতিতাবৃত্তি পেশায় জড়িত।

অবস্থান
দৌলতদিয়া পতিতালয়টি বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার অন্তর্গত গোয়ালন্দ উপজেলায় অবস্থিত। গোয়ালন্দ উপজেলার একটি ইউনিয়ন হলো দৌলতদিয়া। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পতিতালয়টি অবস্থিত।

ইতিহাস
বাংলাদেশে অনুমোদিত কয়েকটি পতিতালয়ের মধ্যে দৌলতদিয়া পতিতালয় একটি। ১৯৮৮ সালের দিকে এটি প্রতিষ্ঠিত বলা হলেও উক্ত স্থানে বহুকাল আগে থেকেই পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বসবাস করতেন এবং অনুমোদিত ও অবৈধ পতিতালয় হিসেবে বেআইনি ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। বর্তমানে এখানে দাপ্তরিক হিসেবে প্রায় দেড় হাজার যৌনকর্মী বসবাস করেন এবং প্রতিদিন প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ জন ব্যক্তি এখানে যৌন সেবা নিতে আসেন।

দৌলতদিয়া পতিতালয়টি অনুমোদিত হলেও বিভিন্ন সময় এখানে আইন বহির্ভূত কার্যক্রম যেমন, বেআইনিভাবে জোরপূর্বক কোন মহিলাকে উক্ত পেশায় বাধ্য করা বা নারী পাচারের মত অভিযোগ রয়েছে।পতিতালয়ের অভ্যন্তরে নানা রকম মাদকদ্রব্য বিক্রয় ছাড়াও ঝুকিপূর্ণ ওষুধ সেবন, অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনকর্মী নিয়োগ, তাদের শারীরিক নির্যাতনসহ অনেক অমানবিক ও বেআইনি কার্যক্রম সংগঠিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন এনজিও এবং সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছে যে, যৌনকর্মীরা এখানে অস্বাস্থকর পরিবেশে বসবাস করে এবং অনেক সময় বিভিন্নভাবে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

এনজিওর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের পতিতা এবং তাদের গ্রাহকরা এইচআইভি/এইডস এর সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। অসুরক্ষিত যৌন আচরণ বিষয়ক অজ্ঞতা ও তথ্যের অভাবে তারা এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
Share:

0 comments:

Post a Comment

Please do not enter any link in the comment Box

Blog Archive

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner