বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) এ বিষয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। সেখানেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বা নতুন করে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের কাছে নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়টি তুলে ধরবেন।' এদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
![]() |
ফাইল ছবি |
ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার একটা চেষ্টা করতে পারি। তবে সবকিছু নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতি কেমন হয়। বিশ্বজুড়ে করোনা প্রকোপ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এখানের বিশেষজ্ঞরা বলছেন শীতে আমাদের এখানে করোনা বাড়তে পারে সে কারণে আমাদের ঝুঁকি থাকছে। কিন্তু তারপরও যারা আগামী বছরে এস এস সি বা এইচ এস সি পরীক্ষা দিবেন তাদের কথা মাথায় রেখে খুবই সীমিত পরিসরে, স্বাস্থ্যঝুঁকি যেন একেবারেই যেন না থাকে এরকম ব্যবস্থা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কি করা যায় এরকম একটা চিন্তা ভাবনা আমরা করছি। যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয় তাহলে আমরা সে ধরনের সিদ্ধান্তে যাবো।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলছি সেটা কিন্তু এই শিক্ষাবর্ষের জন্যেই। এবং বিশেষ করে আমাদের মাথায় আছে যে যারা আগামী বছর ২০২১ সালে যারা এইচ এস সি বা এস এস সি পরিক্ষার্থী। এ বছর যাদের এইচ এস সি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তারা কিন্তু তাদের সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তাদের পরীক্ষা বন্ধ হয়েছিলো। তাই তারা তাদের পড়াশুনাটা শেষ করেছিল। কিন্তু আগামী বছর যারা এইচ এস সি বা এস এস সি দিবে তাদের পড়াশুনায় কিছুটা হলেও ব্যাঘাত হয়েছে। এবং তারা ক্লাস করতে পারেনি প্রায় ৮ মাস। সে কারণে তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারিত পরীক্ষার আগে তাদের যদি ভালোভাবে একটু সময় দেওয়া যায় তাহলে তাদের যে নির্ধারিত সিলেবাস সেটা সম্পন্ন করতে পারবে। তবে অন্যদের ব্যাপারেও আমরা চিন্তা করছি। সবকিছু বিবেচনা করেই, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় নিয়েই আমরা একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্যই নেবো।
গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির সময় বাড়ানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে প্রাথমিকের সমাপনী, জেএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও।
আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রস্তুতি ও সিলেবাস শেষ করার জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এর ফলে দীর্ঘ ৯ মাস পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box