বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানা কলকাতায় কালীপূজা উদ্বোধন করেছেন- এমন খবরে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। অনেকেই বলছেন, একজন মুসলিম হিসেবে এটা তার উচিত হয়নি। সাকিবকে ফেসবুক লাইভে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাকিব। আজ সন্ধ্যায় ইউটিউবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কালীপূজা উদ্বোধন করেননি। একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে তিনি সেটা কখনই করবেন না।
![]() |
সাকিব আল হাসান [ছবি: সংগৃহীত] |
এক ভক্তের সেলফি তোলা নিয়ে সাকিব আল হাসানের আচরণের সমালোচনাও করেন ওই যুবক। এমনকি গালিগালাজ করেন। এছাড়া দেশে এসে সাকিব কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন না থাকায় সেটার কথাও উল্লেখ করেন। হুমকি দেওয়ার পর, ভোর ৬টা ৪ মিনিটে আবারো একটি লাইভ ভিডিওতে হাজির হন মহসিন। তবে রাতের উত্তেজিত ভিডিওর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সাকিব আল হাসানকে জাতির উদ্দেশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান। এ সময় তিনি বলেন, কারো চাপে এখন এ ভিডিওটি নির্মাণ করছেন না বরং সাকিবকে একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং সাকিবের মতো বাকি সকল সেলিব্রেটিদের সঠিক পথে চলার বার্তা দিতে আবার লাইভ করছেন তিনি।
এসএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) এবিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, সাকিবকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি নজরে আসার পরপরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার মাঠে নেমেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সাকিব বলেছেন, 'ঘটনাটি খুব সেন্সেটিভ। প্রথমেই বলতে চাই, আমি নিজেকে গর্বিত মুসলমান মনে করি। আমি সেটাই চেষ্টা করি পালন করার। ভুল ত্রুটি হবেই। আসলে ভুলত্রুটি নিয়েই আমরা জীবনে চলাচল করি। আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনাদের মনে কষ্ট দিলেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। পূজার বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া এবং সোশ্যাল সাইটে এসেছে যে, আমি পূজা উদ্বোধন করতে গিয়েছি। আসলে কখনই যাইওনি এবং করিওনি। এটার প্রমাণ আপনারা অবশ্যই পাবেন।'
সাকিব প্রমাণ দিয়ে বলেন, 'সেখানে অনেক সাংবাদিক ভাই-বোনেরাই ছিলেন। যাদেরকে ইনভাইট করা হয়েছে। তাছাড়া আপনারা যদি সেখানকার ইনভাইটেশন কার্ডটাও দেখেন, তাহলে বুঝবেন কে পূজা উদ্বোধন করেছে। কার্ডে নামও লেখা আছে। এটি উদ্বোধন হয়েছে আমি যাওয়ার আগে। আর যেখানে আমাদের অনুষ্ঠানটি হয়েছে, সেটা পূজামণ্ডপ ছিল না। সেটা আলাদা একটা স্টেজ ছিল। পুরো অনুষ্ঠানটিই সেখানে হয়। প্রায় ৪০-৪৫ মিনিটব্যাপী সেই অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম। সেখানে কোনো ধর্ম-বর্ণ কোনোকিছু নিয়ে কথা হয়নি।'
সাকিব আরও বলেন, 'অনুষ্ঠান শেষে যখন গাড়িতে উঠতে হবে, যেহেতু ওখানে পাশেই পূজার আয়োজন ছিল। আশেপাশে অনেকগুলো রাস্তা বন্ধ ছিল। যেহেতু আমাকে গাড়িতে উঠতে হবে, তাই ওই মণ্ডপটি ক্রস করে আমাকে যেতে হতো। এবং আমি গিয়েছি। যাওয়ার সময় পরেশদা, যিনি আমাকে ইনভাইট করেছিলেন, তার অনুরোধে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করি। যেহেতু কলকাতায় আমি অনেকদিন খেলেছি, কলকাতার মানুষ আমাকে অনেক পছন্দ করে। সেখানকার সাংবাদিকরও উৎসুক ছিলেন; সবার রিকোয়েস্টে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের সময় সবাই দাঁড়িয়ে একটি ছবি তোলা হয়।'
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box