সোমবার মানসিক সমস্যার কারণে পরিবারের সদস্যরা এএসপি আনিসুল করিমকে রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আনিসুল করিম হাসপাতালে ঢোকার পরই ছয়-সাতজন তাকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এ সময় মাথার দিকে থাকা দুজন হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলে । একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি।
![]() |
ফাইল ছবি |
মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহত এএসপির পরিবার। হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ জনকে। সিটি টিভির ফুটেজ দেখে এএসপির ওপর যে আক্রমন হয়েছে, তা একটি হত্যাকান্ড বলে জানান হারুন অর রশীদ। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার। ডিসি হারুন জানান, হাসপাতালটি সিলগালা করার প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের সিএমএম আদালতে তোলা হলে প্রত্যেক আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদিকে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁয়ে উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিং একথা জানানো হয়।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box