এশার নামাজ পড়ার সময় ফতুল্লার পশ্চিমতল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু এখন স্বজন ও অন্যরা বলছেন, মূলত গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেই মসজিদের ভেতর বিস্ফোরণে সবকিছু দুমড়ে মুচড়ে যায়। দগ্ধ হন সব মুসল্লি। মসজিদ থেকে আগেও গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেত বলেও জানান অনেকে।
ছবি সংগৃহীত
প্রথমে দুর্ঘটনাটি এসি বিস্ফোরণের মাধ্যমে জানা গেলেও এখন স্থানীয়রা বলছেন, গ্যাস লিকেজ থেকেই ভয়াভহ এই ঘটনা। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষে একটি দল ঘটনাস্থলে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।শুক্রবার গভীর রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের ভেতরে যখন চিকিৎসকরা দগ্ধ রোগীর চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত, তখন বাইরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় শত শত স্বজন, প্রতিবেশী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। সবার আগে মত্যুর খবরটি আসে ৭ বছরের ছোট্ট জুয়েলের। পরে সকালে একে একে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। স্বজনদের আহজারী আর আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্তর।
![]() |
ছবি সংগৃহীত |
চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধ সব রোগীই সংকটাপন্ন। তাদের শরীরে ৩০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। দগ্ধদের একটি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।দুর্ঘটনার পর দ্রুত সেখানে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের তৎপরতার কথাও নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লার ইউনিটও। বদ্ধ মসজিদে বিস্ফোরণ হওয়ায় কেউ বের হতে পারেন নি। সবার শরীরসহ শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box