Like us on Facebook

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Saturday, September 12, 2020

করোনায় আক্রান্তদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা ।

করোনায় আক্রান্তদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধ করতেই কিম জং উন এমন নিষ্ঠুর নির্দেশনা জারি করেছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার রবার্ট আব্রাহাম দাবি করেছেন, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে করোনা আক্রান্তদের গুলি করে মারছে পিয়ংইয়ং। 


সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর কমান্ডার রবার্ট আব্রাহাম। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ  আয়োজিত একটি অনলাইন কনফারেন্সে অংশ নেন আব্রাহাম।

সেখানেই তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এক মর্মান্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারি শাসক কিম জং উন। করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির চিকিৎসার বদলে, দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর জন্য একটি বিশেষ বাহিনীও তৈরি করেছে কিমের দেশ। তারাই করোনা আক্রান্তকে গুলি করে হত্যার দায়িত্বে।ওই বাহিনীর সদস্যরা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করছে।

গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। তবে প্রথম থেকেই উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে যে, তাদের দেশে একজনও করোনা রোগী নেই।

যদিও বিশেষজ্ঞরা উত্তর কোরিয়ার এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। চীনের সঙ্গে সীমান্ত হওয়ায় উত্তর কোরিয়ার করোনার উপস্থিতি না থাকার বিষয়টি একেবারেই অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়া বলছে, তারা প্রথম থেকেই চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে ৩০ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টাইন জারির কারণে সেখানে করোনা সংক্রমণ পৌঁছাতে পারেনি বলেও দাবি করা হয়েছে। 

চীন থেকেই নিজেদের প্রয়োজনের ৮৫ শতাংশ সামগ্রী আমদানি করে পিয়ংইয়ং। কিন্তু করোনার প্রভাব ঠেকাতে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। গত জুনে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলেও সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমে ঘোষণা করা হয়।

এর পাশাপাশি চীন সীমান্তের ২ কিলোমিটার আগে নতুন বাফার জোন তৈরি করা হয়। এর ফলে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রভাব পড়েছে জিনিসপত্রের দামে। তবে এতসব সমস্যার মধ্যেও করোনার বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি উত্তর কোরিয়ার। 

খবর এএফপির।

Share:

0 comments:

Post a Comment

Please do not enter any link in the comment Box

Blog Archive

Definition List

Unordered List

Support

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner