বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের রাজনগর এলাকায় গুমাই নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের স্ত্রী লুৎফুন্নাহার (২৫) ও তার আড়াই বছরের ছেলে রাকিবুল, নেত্রকোনা সদরের মেদনী গ্রামের আবুচানের স্ত্রী হামিদা (৫০), সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী মজিদা আক্তার (৫০), মধ্যনগর এলাকার কামাউড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে অনিক (৭), একই গ্রামের হাবিকুলের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩০) ও তার দুই শিশুসন্তান টুম্পা আক্তার (৫) ও জাহিদ হোসেন (৩), ধর্মপাশা উপজেলার জামালপুর গ্রামের জোবায়েরের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৬) এবং একই গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী সুলতানা আক্তার (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৩৬ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর ঘাট থেকে নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা এলাকায় যাচ্ছিল। সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রাজনগর এলাকায় গুমাই নদীতে একটি বালুবাহী নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটলে যাত্রীবোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা দশজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে দুই পরিবারের ছয়জন রয়েছেন।
ওই ট্রলারে থাকা আব্দুর রহমান বলেন, মধ্যনগর ঘাট থেকে আমরা ভাড়ায়চালিত একটি ট্রলারযোগে নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে উল্টো দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রলার আমাদের ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি পানিতে ডুবে যায়। আমরা সাঁতার কেটে তীরে উঠতে পারলেও নৌকার ভেতরে থাকা যাত্রীরা অনেকেই বের হতে পারেননি।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা জানান, বালুবাহী একটি নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারটিতে ৩৬ জন যাত্রী ছিল। বাকিদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার গুমাই নদীতে একটি বালুবাহী নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ শিশুসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment
Please do not enter any link in the comment Box